মুখ্যমন্ত্রী বনাম বিরোধী দলনেতার আইনি এই লড়াইয়ের দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজ্যের। আইনজীবীদের অনেকের অবশ্য ধারণা, শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবে না কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার ফলে উজ্জীবিত, নতুন সেনাপতিকে দায়িত্বে এনে মাস্টারস্ট্রোক দেবেন মমতা?
advertisement
তবে, এই আইনি জট নিয়ে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, যেহেতু শীর্ষ আদালতে মামলাটি উঠছে, তাই হাইকোর্টে শুনানি কতটা হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে, ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর সমস্ত বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত-সকালেই দিল্লি গেলেন দিলীপ ঘোষ! 'রাষ্ট্রীয় স্বার্থ' সামলে নামবেন পুরভোটের লড়াইয়ে
প্রসঙ্গত, ‘নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে’ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু বিচারপতি বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিযোগ তুলে অন্য বিচারপতির বেঞ্চে মামলা পাঠানোর আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রে বিচারপতি পরিবর্তন হলেও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জুলাই মাসে মামলাটি যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। কিন্তু এই মামলায় বেঞ্চ বদল হওয়ায় বেঁকে বসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ওই মামলার বেঞ্চ বদল ঘটায় সুবিচার পাবেন বলে আশা করছেন না তিনি। তাই ভিন রাজ্যে মামলা সরানোর আর্জি জানান সুপ্রিম কোর্টে। সেই শুনানি হতে পারে আজ।