বর্তমান আদেশ অনুসারে পদক্ষেপগুলি ব্যাখ্যা করে এবং এমনকি ত্রিপুরায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে তা নিশ্চিত করার জন্য R1 দ্বারা হলফনামা দাখিল করা হবে৷ ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্রসচিব সম্মতির যৌথ প্রতিবেদন দাখিল করবে।"
কিন্তু এই আদেশের পরও শান্ত হলো না বিজেপি, তৃণমূলের অভিযোগ সকাল থেকে ওয়ার্ড নম্বর ১০, ১২, ৩৩ এবং আমবাসার ওয়ার্ড নম্বর ১ থেকে দেখা গেছে বিজেপির বহু রাজনৈতিক অশান্তির চিত্র। কেউ প্রচারে বেরিয়েছে বলে হুমকি দিচ্ছে, কারুর জমির ফসল জ্বালিয়ে দিচ্ছে বা কোথাও তৃণমূলের পতাকা জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, এইসব রাজনৈতিক অশান্তি দেখেই বোঝা যায় যে ত্রিপুরার শাসক দলের কাছে, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কোনো মূল্য নেই।
advertisement
আরও পড়ুন-গ্রামে প্রকল্প হলে মিলবে? চাকরি ডেউচা-পাচামিতে দুই কন্যার কাহিনি
তৃণমূল নেতা আশিষলাল সিংহ জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় বিজেপির লাগাম ছাড়া সন্ত্রাসের ছবি আরও একবার ধরা পড়লো জনগণের চোখে। দিনের আলোর বিশৃঙ্খলা তারা বজায় রাখলো রাতের অন্ধকারেও। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা খুলে নিয়ে, লাগিয়ে দেওয়া হল বিজেপির পতাকা। এখানেই শেষ নয়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের হোর্ডিং খুলে নিয়ে তার বদলে বিজেপির হোর্ডিং লাগানো হল আগরতলার বহু প্রান্তে।
আরও পড়ুন-‘স্পেশাল’ তকমা ফেলে পুরোনো ফর্মে ফিরছে ভারতীয় রেল, কেমন হবে সফর খরচ
তবে পুরভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রচারের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ২০ তারিখ প্রচারে যাবেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তার পরেই ২২ তারিখ প্রচারে যাবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রীর প্রচারে যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল প্রার্থীদের ওপরে আক্রমণের ঘটনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রার্থীদের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে থানায়।
সুস্মিতা দেব ট্যুইটারে যা লিখেছেন-
যদিও পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ত্রিপুরা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এক ট্যুইট বার্তায় যে ভিডিও তাদের দেওয়া হয়েছে সেটায় সঠিক ভাবে বোঝা সম্ভব নয়। পালটা কটাক্ষ করে সুস্মিতা দেব বলছেন, "এবার থেকে কেউ আক্রমণ করতে আসলে, তাদের বেশিক্ষণের ভিডিও নেব, নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার নিয়ে রাখব৷"