অরুণ জেটলি- প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, যিনি গত ১৮ মাস ধরে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘বর্তমানে, নতুন সরকারে কোনও দায়িত্বে'' তিনি থাকতে চান না। আইনজীবী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা জেটলি বরাবরই বিজেপির প্রথম সারির নেতা। এছাড়াও তবে বাদ পড়েছেন সুষমা স্বরাজ, সুরেশ প্রভু, জে পি নাড্ডা, উমা ভারতী, মেনকা গাঁধী, রাধা মোহন সিং, চৌধুরী বীরেন্দ্র সিং, মনোজ সিনহা, কেজে আলফনস, মহেশ শর্মা, জুয়েল ওরাম মতো মন্ত্রীরা।
advertisement
জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন গত বছর। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভায় সুযোগ পাননি। আশা করা হচ্ছে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদান করবেন তিনি।
সুষমা স্বরাজ, যিনি বিদেশ মন্ত্রী ছিলেন বিগত সরকারের, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায় দর্শকদের মধ্যে। গতবার বাণিজ্য ও শিল্প পোর্টফোলিও সাথে বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সামলিয়ে ছিলেন তিনি। শিবসেনা থেকে ভাঙিয়ে তাঁকে গতবার মন্ত্রী করেছিলেন মোদি। সেই সুরেশ প্রভু বাদ পড়ায় শুরু হয়েছে জল্পনা।
নরেন্দ্র মোদির নতুন সরকারে অস্থায়ী স্পিকারের দায়িত্বে থাকবেন মানেকা গান্ধী। গত মন্ত্রিসভাতেও তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন।
হিন্দুত্বের মুখ উমা ভারতীও নেই মন্ত্রিসভায়। প্রথম মোদি সরকারের শেষ দিকে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এবার লোকসভা ভোটেও প্রার্থী হননি উমা।
অন্যান্য প্রতিমন্ত্রীরা যারা আগের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন কিন্তু এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেনা না তাঁরা হলে রাম ক্রিপাল যাদব (গ্রামীণ উন্নয়ন), হানসরাজ গঙ্গগ্রাম আহির (ঘরের বিষয়), রাধাকৃষ্ণ পি (শিপিং ও অর্থ), জয়ন্ত সিনহা (সিভিল বিমান পরিবহন), আনোয়ার কুমার হেগদে (দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা), এসএস আহলুয়ালিয়া (ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি) এবং বিজয় গোয়েল (সংসদ বিষয়ক)।