আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এম ভি রমন এই মামলার শুনানিতে বলেছেন, 'এই সপ্তাহেই আমরা অন্তর্বর্তী রায় দিতে চাই।সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে চাইছে। কিন্তু এক সদস্য ব্যক্তিগত কারণে কমিটিতে থাকতে রাজি হননি। এইজন্য মামলায় বিলম্ব হচ্ছে।' পেগাসাস ইস্যুতে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হলফনামা তলব করেছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু সেই হলফনামা নিয়ে বারবার টালবাহানা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তার জেরেই সুপ্রিম কোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছে বারবার।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার ডেরায় 'বাধার' মুখে সুকান্ত! প্রিয়াঙ্কার জয় আনতে সেই একই 'অস্ত্রে' শান নতুন সেনাপতির
এর আগে শীর্ষ আদালত পেগাসাস মামলার গুরুত্ব স্বীকার করে জানিয়েছিল, ''এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর, সত্য সামনে আসবেই। আমরা যদিও জানি না সত্যাসত্য ঠিক কী, তবে অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে অপরাধীর নাম সকলের সামনে আসবে।'' পেগাসাস মামলায় কেন্দ্রকে বারবার হলফনামা দিতে বলা হলেও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতে যুক্তি দেন, বিষয়টি জাতীয় সুরক্ষার বিষয়। সেক্ষেত্রে পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, 'জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে আমরা জানতে চাই না। কিন্তু, সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা, সেই তথ্য হলফনামা আকারে জানতে চাওয়া হয়েছিল।'' এখানেই থামেননি প্রধান বিচারপতি। বলেন, ''জাতীয় সুরক্ষা বা প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত দেশের কোন তথ্য জানার ইচ্ছে আমাদের কারও নেই। কিন্তু যে গুরুতর প্রশ্নটা উঠছে, তা হল, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা। অর্থাৎ, আইন স্বীকৃত কোনও পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারক এবং অন্যদের টেলিফোনে আড়িপাতা হয়েছে কিনা।' তবে, হলফনামা এখনও দেয়নি কেন্দ্র। এরই মধ্যে কমিটি গঠনের কথা বলে কেন্দ্রের চাপ আরও কিছুটা বাড়াল সর্বোচ্চ আদালত।