এই আবেদনের যৌক্তিকতা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলে দিয়ে দুই বিচারপতি মন্তব্য করেন, যখন রাজনৈতিক দলগুলি ভোটে জেতে তখন তারা ইভিএম নিয়ে কোনও অভিযোগ করে না৷ কিন্তু ভোটে হারলেই ইভিএম নিয়ে সরব হয় তারা৷
আরও পড়ুন: যাত্রী সেজে বসেছিল এসি কোচে, হঠাৎ এসে ধরল রেল পুলিশ! শিয়ালদহ- বালুরঘাট এক্সপ্রেসে কী কাণ্ড?
advertisement
মামলাকারী কে এল পাল আবেদনে জানান, চন্দ্রবাবু নাইডু এবং ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডির মতো নেতাও অতীতে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেছেন৷ এই যুক্তি শুনে দুই বিচারপতি বলেন, ‘চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জগন মোহন রেড্ডিরা যখন ভোটে জেতেন, তখন তাঁরা ইভিএম নিয়ে একটা কথাও বলেন না৷ ভোটে হারলেই ইভিএমে ত্রুটি দেখেন তাঁরা৷ এটা আমরা কীভাবে দেখব? এসব নিয়ে চর্চা করার জায়গা এটা নয়৷’
আবেনকারী আরও দাবি করেছিলেন, ইভিএম গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক৷ আমেরিকার মতো দেশেও যেখানে কাগজের ব্যালটে ভরসা রাখা হয়, সেখানে ভারতেও সেই পথেই ফেরা উচিত বলেও আর্জি জানান ওই মামলাকারী৷ এর জবাবে দুই বিচারপতি বলেন, ‘গোটা বিশ্বের থেকে আমরা যদি ব্যতিক্রমী হই তাহলে ক্ষতি কী?’