সিবিএসই (CBSE) এবং আইএসসিই (ICSE) যে মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিকল্পনা করেছে তা যুক্তিযুক্ত। এদিন এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। চলতি মাসেই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করেছিল সিবিএসই বা সিআইএসসিই। তার বদলে বিকল্প মূল্যায়ন ফর্মুলার ব্লু-প্রিন্ট আদালতে জমা দিয়েছিল দুই বোর্ড। জানানো হয়েছিল, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। সিবিএসই-র তরফে জানানো হয়েছিল, ফল নিয়ে কোনও পড়ুয়া অসন্তুষ্ট হলে ঐচ্ছিক পরীক্ষার জন্য অনলাইনে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ঐচ্ছিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। সিবিএসই কম্পার্টমেন্ট পরীক্ষা ২০২১ বাতিল করার আবেদনও জমা পড়েছিল। এদিন সেই আবেদনেরও শুনানি হয়েছে। ১,১৫২ জন পড়ুয়া আবেদন করেছিলেন, নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মতোই তাঁদেরও একই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হোক। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১৫ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত দিনে অফলাইনে তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে সেই পরীক্ষাও নির্ভর করবে সেই সময় দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর।
advertisement
অনশুল গুপ্তা নামে বেসরকারি এক স্কুল শিক্ষক দুই বোর্ডের পরীক্ষা বাতিলের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি, অন্য অনেক প্রবেশিকা পরীক্ষা করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হচ্ছে। তা হলে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করার যুক্তি কী! তাঁর এমন দাবিতে বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, প্রবেশিকা ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কি এক? এত পরীক্ষার্থীতর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির দায় কে নেবে!