TRENDING:

যৌন নিগ্রহ নিয়ে বির্তকিত রায় ! বম্বে হাইকোর্টের ওই বিচারপতিকে উচিত জবাব সুপ্রিমকোর্টের

Last Updated:

গত ২০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে স্থায়ী বিচারপতির পদের জন্য ওই গনেদিওয়ালার নাম সুপারিশ করে। কিন্তু তারপরেই এমন দুটি রায় দেন পুষ্প যে গোটা দেশ নড়েচড়ে বসে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মুম্বই: সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্টের দুটি রায় নিয়ে গোটা দেশে হই-চই শুরু হয়েছে। ভারত নয় পৃথিবীর যেকোনও দেশেই যৌন নির্যাতন সব সময় ধিক্কারের বিষয় হয়ে থেকেছে। আলোচনা ও বিদ্রোহের ঝড় উঠেছে। আর এই যৌন নির্যাতন নিয়েই বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্প গনেদিওয়ালা দুটি রায় দিয়েছিলেন। প্রথম ঘটনায় তিনি বলেন, পোশাক না সরিয়ে নাবালক বা নাবালিকার শরীরে অন্যায় স্পর্শ করলে তা যৌন নির্যাতন নয়। দ্বিতীয় ঘটনায় বলেন, প্যান্টের চেন খুলে যৌনাঙ্গ প্রর্দশন যৌন নির্যাতন নয়। প্রথম রায়টির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার বম্বে হাইকোর্টে গনেদিওয়ালার স্থায়ীকরণের সুপারিশও তুলে নিল সপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।
advertisement

পুষ্প গনেদিওয়ালার আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বিচারপতির আসনে তিনি যোগ্য নন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পুষ্প গনেদিওয়ালার ওপর কোনও ব্যক্তিগত রাগ নেই। কিন্তু বিচারপতি হওয়ার জন্য তাঁর এখনও অনেক কিছু শেখার প্রয়োজন। এমনকি এও বলা হয়, তিনি যখন আইনজীবি ছিলেন তখন হয়ত এ ধরণের মামলা বিশেষ দেখেননি। তাই তাঁকে এখনও শিখতে হবে।

advertisement

গত ২০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে স্থায়ী বিচারপতির পদের জন্য ওই গনেদিওয়ালার নাম সুপারিশ করে। কিন্তু তারপরেই এমন দুটি রায় দেন পুষ্প যে গোটা দেশ নড়েচড়ে বসে। রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অনেকেই। এই সময় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম পুষ্প গনেদিওয়ালার নাম ফিরিয়ে নেয়। সাধারণত কোনও বিচারপতির স্থায়ীকরণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠায়। এরপর সরকার সেই সুপারিশ মানলে বা সিলমোহর দিলে তবেই স্থায়ীকরণ হয়। এসব ক্ষেত্রে চাইলে সুপ্রিমকোর্ট কলেজিয়াম এই সুপারিশ ফিরিয়েও নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

১২ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। ৩৯ বছরের এক যুবক ওই নাবালিকার বুকে অন্যায় স্পর্শ করে। আর তাতেই বিচারপতি পুষ্প গনেদিওয়ালা রায় দেন, যেহেতু মেয়েটির পোশাক খোলা হয়নি তাই এটি যৌন নির্যাতন নয়। এর ঠিক কয়েক দিনের মধ্যেই আর একটি মামলায় তিনি রায় দেন যে পাঁচ বছরের শিশুর হাত ধরা বা তাঁকে যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নিগ্রহ নয়। এতে সাজা কমে যায় অপরাধীর। এই ভয়ানক রায় মানতে পারেননি কেউ। একজন বিচারপতি হয়ে কি করে এই রায় দিতে পারলেন তিনি। তা নিয়ে সব জায়গায় প্রশ্ন উঠতে থাকে। এর পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
যৌন নিগ্রহ নিয়ে বির্তকিত রায় ! বম্বে হাইকোর্টের ওই বিচারপতিকে উচিত জবাব সুপ্রিমকোর্টের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল