আদালতের পর্যবেক্ষণ, আশা করা হচ্ছে এই দুই সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও তৃণমূলে নয়, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। শুধু তাই নয়, আদৌ কোনওদিনই নাকি তিনি তৃণমূলে যোগই দেননি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনজীবী মারফত লিখিত ভাবে এমনটাই জানিয়েছেন মুকুল। তাঁর এহেন দাবি ঘিরে কার্যত তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলে 'মন কি বাত' শুনতে পাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ! হঠাৎ কী ঘটল?
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পরেই দল ছাড়েন সপুত্র মুকুল রায়। একেবারে ছেলেকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই তাঁর বিধায়ক পদ কেন খারিজ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। দলবিরোধী আইন অনুযায়ী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: দিন কয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন, টেস্ট রিপোর্ট এল ডিআইজি সিবিআই-এর! আর জানা গেল...
আর তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। এই বিতর্কের মধ্যেই মুকুলকে পিএসসি চেয়ারম্যান হিসাবেও নিয়োগ করা হয়। যা ওই বিতর্ককে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। মুকুল রায়কে কীসের ভিত্তিতে পিএসসি চেয়ারম্যান করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। কিন্তু এখন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ। বরং মুকুল তাঁর কাছে পাঠানো চিঠিতেই দাবি করেছেন, তিনি তৃণমূলে যোগই দেননি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি তাকিয়ে আদালতের নির্দেশের দিকে। আপাতত সেই শুনানি দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেল।
