নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক সোনালি বিবি মামলার শুনানি চলাকালীন বাংলার অনুপ্রবেশ নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় সরকারপক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা৷ শীর্ষ আদালতে তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ‘সংগঠিত অনুপ্রবেশ চলছে’ (সিস্টেম্যাটিক ইনফিলট্রেশন) এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে ‘এজেন্ট’রাও ভীষণ ভাবে সক্রিয়৷ তুষার মেহতার দাবি, বাংলাদেশি সন্দেহে ধৃত, অনুপ্রবেশের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে রোহিঙ্গা মামলার সঙ্গে শোনা হোক৷
advertisement
শুক্রবার বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করার মামলা সংক্রান্ত শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে৷ সেই শুনানি চলাকালীনই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘আমার একটা অনুরোধ আছে৷ এই মামলার শুনানি কি রোহিঙ্গা মামলার সঙ্গে করা যায়? আমরা এবিষয়ে একটি নথিও জমা দিয়েছি৷ ওখানে একটা সংগঠিত র্যাকেট চলছে৷ রোহিঙ্গাদের নিয়েই৷ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের লোকজনও এই ভাবেই ঢুকে পড়ছে৷’’
তুষার মেহতার দাবি, এতে সীমান্তসবর্তী অঞ্চলে জনবিন্যাস (ডেমোগ্র্যাফি) বদলে যাচ্ছে। এজেন্টরা সাহায্য করছে অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে। তাঁদের নথিও বানিয়ে দিচ্ছে। এটা দেশের জাতীয় স্বার্থের বিষয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ প্রশ্ন করে, কেন্দ্রীয় সরকার কি সত্যি সত্যিই ভাষা দেখে মানুষকে আটক করছে কি না৷ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তখন জানান, না শুধুমাত্র ভাষা উপরে ভিত্তি করে আটক করা হচ্ছে না৷
বেঞ্চ জানায়, ‘‘এক্ষেত্রে, ২টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, এক, দেশের নিরাপত্তা এবং একতার বিষয়, আর অন্যটা হল, পঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহাসির ঐতিহ্যের বিষয়৷ এখানে ভাষা এক, কিন্তু, রয়েছে সীমান্তের ভেদ৷ আমরা চাই, এ নিয়ে আপনাদের (কেন্দ্রের) অবস্থান আপনারা স্পষ্ট করুন৷’’
অনুপ্রবেশের সমস্যাকে খুবই জটিল ইস্যু, অর্থাৎ সিরিয়াস ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন বলে উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত৷