সম্প্রতি তামিলনাড়ুর একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, সংসদ অথবা বিধানসভায় পাস হওয়া কোনও বিল দ্বিতীয় বারের জন্য রাষ্ট্রপতি অথবা রাজ্যপালের কাছে এলে তাতে তিন মাসের মধ্যে সম্মতি দিতে হবে৷
advertisement
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই রাখঢাক না করেই শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়৷ তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতিকে শীর্ষ আদালত কোনও নির্দেশ দিতে পারে না৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সুপার পার্লামেন্টের ভূমিকা নিতে চাইছেন বলেও কটাক্ষ করেন ধনখড়৷ সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে সরব হন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাও৷
উপরাষ্ট্রপতি এবং বিজেপি নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য যে শীর্ষ আদালত ভাল ভাবে নিচ্ছে না, এ দিন পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মামলা চলাকালীন তা স্পষ্ট করে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই৷ আগামী মাসেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা তাঁর৷
মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের অন্যান্য কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনার কথা উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন৷ শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি যে হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটেছে আমি তা আদালতের গোচরে আনতে চাই৷
এই আর্জি শুনেই বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, ‘আপনি চাইছেন আমরা রাষ্ট্রপতি শাসনের নির্দেশ জারি করি? এমনিতেই আমাদের বিরুদ্ধে সংসদ এবং সরকারের কার্যনির্বাহী ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠছে৷’ উপরাষ্ট্রপতির মন্তব্য যে শীর্ষ আদালত ভাল ভাবে নেয়নি, এ দিন সেকথাই বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গাভাই৷ বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করে কেন্দ্রের শাসক দলের নেতাদের মন্তব্যের উপরে যে সুপ্রিম কোর্ট কড়া নজরদারি রাখছে, সম্ভবত তাও বুঝিয়ে দেওয়া হল৷