ভোটের ময়দানে নিজেকে দলিতের মসিহা হিসেবে তুলে ধরেন মায়াবতী। বিজেপির তাস আবার হিন্দু জাতীয়তাবাদ। সমাজবাদী পার্টি স্বঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষ দল হলেও, নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে ভরসা করতে হয় যাদব-মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে। এভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির বেশিরভাগই ভোটে জিততে কোনও না কোনও ধর্ম-জাতি বা সম্প্রদায়ের তাস খেলে। ভারতীয় রাজনীতির এই চেনা ছক কি এবার অতীত হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর? সোমবার হিন্দুত্ব মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের যুগান্তকারী নির্দেশের পর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। সুপ্রিম নির্দেশিকা অনুযায়ী,
advertisement
জাতি-ধর্মে ভোট নয়
- জাতি, ধর্ম ও ধর্মবিশ্বাসের নামে ভোট চাইতে পারবে না রাজনৈতিক দল বা ভোটপ্রার্থীরা
- ভোট চাওয়া যাবে না ভাষা ও সম্প্রদায়ের নামেও
- নির্বাচন একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রক্রিয়া। তাই এরসঙ্গে ধর্মকে জড়ানো উচিত নয়
- নিয়ম ভাঙলে জনপ্রতিনিধি আইনের ১২৩(৩) ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা হবে
জাতপাত জর্জরিত উত্তরপ্রদেশ, বিহার বা দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে কী প্রভাব পড়বে সুপ্রিম কোর্টের এই নিদেশিকার?
১৯৯৫ সালে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, হিন্দুত্ব কোনও ধর্ম নয়। জীবনযাপনের একটি ধারা মাত্র। সেই রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাগুলির প্রেক্ষিতেই এদিন ভোট-বিধি নিয়ে ঐতিহাসিক নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের মধ্যে চার-তিন ভোটে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।