প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, যেহেতু এই মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে, ফলে সেখানেই পাল্টা মামলা করতে হবে আবেদনকারীকে। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া বলেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, প্রতিদিন নতুন নতুন এফআইআর করা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, "আমরা আবেদনকারীকে কলকাতা হাইকোর্টে বকেয়া মামলায় হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দিচ্ছি।" আইনজীবী বলেন, প্রথমে মামলাটি ছিল একজন বিচারপতির এজলাসে। পরে মামলাটি যায় বিচারপতি সরকারের বেঞ্চে এবং চারদিন সেটা শোনার পর মামলা চলে যায় অপর বিচারপতির কাছে। এভাবে বিষয়টি নিয়ে খেলা চলতে পারে না বলে জানান তিনি।
advertisement
পাল্টা বীরবাহ হাঁসদার আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন এটা কোনও খেলা নয়। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলাগুলোতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারই পাল্টা মামলা দায়ের করার আবেদন করেছিলেন বীরবাহা হাঁসদা।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জানুয়ারি। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ সঠিক হবে না। গত ৮ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের করা ২৬ এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, শুরু ২৪-এর তোড়জোড়! অনুব্রত গড়ে আসছেন শাহ, রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রীও
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য, 'যেহেতু তিনি বিরোধী দলের নেতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত, তাঁর সন্দেহ আদালত সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারে না।' অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, অন্তত সাতবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। সময়, তারিখ যেদিন তিনি আসবেন সেটাই জানতে চাওয়া হয়। সিআরপিসি ৪১ এ নোটিশে সমস্যা কোথায়? রক্ষাকবচ তাকে আগেই দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন নতুন করে আবার সুবিধা পাবেন?