সময় মাত্র ন’সেকেন্ড। বীভৎস একটা শব্দ, ব্যাস! তারপরেই সব শেষ৷
২০১২-২০২২- ১০ বছরের বিতর্কের শেষে সেই গগনচুম্বী অট্টালিকা, উচ্চতায় যে কুতুবমিনারকেও হার মানাত, এখন ইতিহাস। আর শেষটাও হল ইতিহাস তৈরি করার মতো করেই৷ শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল সঙ্গী৷ বিতর্কের শিকড় উপড়ে টাওয়ার মাটিতে মিশিয়ে গেল মুহূর্তে।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়ে মারাত্মক পরিকল্পনা, প্রসন্ন গ্রেফতার হতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল পার্থর!
advertisement
নয়ডার জোড়া মিনারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে খরচ প্রায় ২০ কোটি টাকা ৷ মোট ৭.৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই মিনার তৈরি করতে প্রতি বর্গফুট পিছু খরচ পড়েছিল ৯৩৩ টাকা৷ সব মিলিয়ে নির্মাণ-ব্যয় পৌঁছেছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকায় ৷ এ বার এর ধ্বংসপর্বও হল ব্যয়বহুল ৷
এই জোড়া মিনারের নাম অ্যাপেক্স এবং কেয়ান৷ এর মধ্যে প্রথমটির উচ্চতা ১০৩ মিটার ৷ দ্বিতীয় মিনার ৯৭ মিটার লম্বা ৷ নয়ডার সেক্টর ৯৩-এ এই নির্মাণ ধ্বংসে প্রতি বর্গফুট পিছু খরচ পড়বে ২৬৭ টাকা ৷ সব মিলিয়ে ভাঙনকালে যে মোট ২০ কোটি টাকা খরচ হল তার মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেবে সুপার টেক সংস্থা ৷ বাকি ১৫ কোটি টাকা আসবে এর ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে ৷ অনুমান, সুপারটেরক টুইন টাওয়ার ভেঙে পাওয়া যাবে ৫৫ হাজার টন সামগ্রী ৷ যার মধ্যে স্টিল থাকবে ৪ হাজার টন ৷
আরও পড়ুন: দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, তোলপাড় শাসক শিবির!
আশেপাশের সোসাইটি, এমারেল্ড কোর্ট এবং সেক্টর 93A এর পার্শ্ববর্তী এটিএস গ্রামের প্রায় ৫০০০ বাসিন্দাকে ইতিমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয় আগেই। উপরন্তু, ৩ হাজার যানবাহন, বিড়াল এবং কুকুর সহ ১৫০-২০০ পোষা প্রাণীকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে ৫০০ মিটারের নো-এন্ট্রি জোন৷ হাজির অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল বাহিনী৷
এটি প্রতিটি টাওয়ারে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত ফ্লোর সংখ্যা ছিল ৪০। আদালতের বাধার কারণে সবটা নির্মাণ করা যায়নি। কিছু নির্মাণ বিস্ফোরণে ভেঙে ফেলার আগে এমনিই ভেঙে ফেলা হয়। এখন অ্যাপেক্স বিল্ডিংয়ে মোট ফ্লোর সংখ্যা ৩২। সিয়ানে রয়েছে ২৯ টি ফ্লোর। পরিকল্পনা ছিল ৯০০ টিরও বেশি ফ্ল্যাট তৈরি, যার দুই-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই বুক করা বা বিক্রি করা হয়েছে। সুদসহ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।