শুক্রবার AIIMS-এর মেডিক্যাল বোর্ডের থেকে সুনন্দা পুষ্করের ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশ কমিশনার বিএস বাসসি জানান, ‘এখনও পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ আমরা পেয়েছি, তার ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না।’ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এফবিআই ল্যাবে সুনন্দার ভিসেরা স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছিল ৷ তাতে বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলেও কী বিষ সেটা জানা যায়নি ৷ দিল্লি পুলিশ সেই রিপোর্ট এইমসের কাছে পাঠায় এবং তাদের মতামত জানতে চায় ৷ এদিন সকালে এইমসের মেডিক্যাল বোর্ড ভিসেরা পরীক্ষার চুড়ান্ত রিপোর্ট দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেয় ৷ তবে দিল্লি পুলিশের কাছে সুনন্দার শরীরে যেসব দাঁতের দাগ এবং ইনজেকশনের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল সেই সম্পর্কে আরও তথ্য চাইল AIIMS ৷ সূত্রের খবর, কেআইএমএস হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময়ে সুনন্দার শরীরে কোনও ইনজেকশন বা দাঁতের দাগ ছিল না ৷
advertisement
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির চাণক্যপুরীর এক পাঁচতারা হোটেল থেকে উদ্ধার হয় সুনন্দা পুষ্করের দেহ ৷ সুনন্দা মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও একইরকম জট পেকে আছে ৷ ময়নাতদন্ত থেকে ভিসেরা রিপোর্ট বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ আলাদা বলা হয়েছে ৷ মৃত্যুর আগের দিনই শশী-মেহের সম্পর্ক নিয়ে ট্যুইটারে পাক সাংবাদিক মেহের তারার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন সুনন্দা পুষ্কর ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, তার স্বামী প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মেহের তারার ৷ সব মিলিয়ে সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু রহস্য ক্রমশি ঘনীভূত ৷