মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধরমেন্দর সিং অধীনে ফাইল হওয়া এই মামলায় আইপিসি-র দুটি ধারার উল্লেখ রয়েছে, একটি ৪৯৮ এ (স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মহিলাদের ওপর অত্যাচার) এবং ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া) ৷
চার বছর আগে দিল্লির একটি হোটেল রুমে রহস্যভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সুনন্দ পুষ্করকে ৷ সেই মামলার এতদিনে চার্জশিট গঠন করল দিল্লি পুলিশ ৷
advertisement
চার্জশিটে সুনন্দা পুষ্কর ‘নিজেই নিজেকে হত্যা’ করেছেন বলে চার্জশিটে জানানো হয়েছে ৷ তাই কারোর বিরুদ্ধ হত্যার চার্জ গঠন হয়নি ৷ তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জো নেই তাঁর ৷ চার্জশিটে বলা হয়েছে বিবাহ পরবর্তী মত পার্থক্যের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ না পাওয়া যাওয়ায় খুনের অভিযোগ আনা যায়নি ৷
২৪ মে এই চার্জশিটের ভিত্তিতে থারুরকে সমন পাঠানো হবে ৷ সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন থারুরকে একমাত্র আদালতই সমন পাঠাতে পারে ৷
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি বিলাসবহুল হোটেলে মৃত্যু হয়েছিল ৷ এর ঠিক আগেই পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তারারের সঙ্গে থারুরের নৈকট্য নিয়ে উত্তাল হয়েছিল
প্রাথমিক পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা গিয়েছিল মৃত্যুর কারণ বিষক্রিয়া ৷ রক্তে অ্যালজোলামের উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল পাশাপাশি রুমে ঘুমের ওষুধ ছিল ৷ তবে ঠিক কোন বিষের প্রভাবে মৃত্যু তা বোঝা যায়নি ৷
অটাপ্সি রিপোর্টে সুনন্দার দেহে প্রায় ১৫ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল ৷
যার কোনটাই হয়ত মৃত্যুর কারণ নয় ৷ তবে একদম তাজা দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল যাতে একটি ইঞ্জেকশন ও কিছু কামড়ের দাগ ছিল ৷ পাকস্থলিতে অধিক পরিমাণে অ্যালপ্রাজোলামের উপস্থিতিও ধরা পড়েছিল এইএমএসে-র চিকিৎসকদের রিপোর্টে ৷
এরপর এফবিআইয়ের ভিসেরা রিপোর্টে পাওয়া যায় আরও কিছু তথ্য ৷ জানান যায় সুনন্দা পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন ৷ তার কোনও রকমের ওষুধ প্রয়োজন ছিল না ৷ একইসঙ্গে তাঁর শরীরে অ্যাপ্রাজোলাম ও হাইড্রক্সি ক্লোরিনের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল ৷
এই ঘটনা ভারতীয় সংসদে রাজনৈতিক পালাবদলের পর আরও বড় আকার নেয় ৷ ইউপিএ থেকে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ হওয়ার পরই চাপ বাড়ে এই ঘটনার তদন্তের বিষয়ে ৷ বিজেপির সাংসদ সুব্রহ্মমনিয়ম স্বামী দিল্লি হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেন ৷ যেখানে তিনি সুনন্দার মৃত্যু তদন্তে সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ চান ৷