ভিডিওর শুরুতে দেখা যাচ্ছে পর্যটকভর্তি কিছু গাড়ির সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি পথকুকুর৷ পলকের মধ্যে ভিডিও ক্লিপে বিদ্যুৎগতিতে বাঘিনির আগমন৷ কুকুরটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে টেনে নিয়ে যায়৷ এক পর্যটকের গলায় শোনা যায় আর্ত চিৎকার, ‘‘বাঘিনি ধরে ফেলেছে কুকুরটিকে!’’( Sultana the tigress of Ranthambore National Park hunts a stray dog in front of tourists)
advertisement
আরও পড়ুন : সংক্রমণের দাপটে রাজধানীতে ইয়েলো অ্যালার্ট, কঠোর বিধিনিষেধে ‘প্রায় লকডাউন’ পরিস্থিতি
বন্যপ্রাণ নিয়ে উৎসাহীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে এই ভিডিও৷ তাঁদের আশঙ্কা, কুকুরটির মাংস খাওয়ার ফলে ক্যানাইন ডিসটেম্পার ও অন্য অসুখে ভয়াবহভাবে কমে যেতে পারে বাঘের সংখ্যা৷ ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ট্রাস্টের অনীশ অন্ধেরিয়া ভিডিও ক্লিপটি ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘রণথম্বরের ভিতরে কুকুরকে মেরেছে বাঘ৷ এর ফলে বাঘের ক্ষেত্রে মারণ অসুখ ক্যানাইন ডিসটেম্বারের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাচ্ছে৷ এতে খুব অল্প সময়েই নির্দিষ্ট এলাকায় বাঘের সংখ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে৷’’ তাঁর কথায়, বন্যপ্রাণের কাছে কুকুর সব সময় একটা বড়া আতঙ্ক৷ অভয়ারণ্যে তাদের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন৷
আরও পড়ুন : বন্ধ স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল! ওমিক্রন আতঙ্কে কড়া বিধিনিষেধ ফিরল দিল্লিতে
পোস্ট করার মাত্র একদিনের মধ্যে ট্যুইটারে ভিডিয়োর ভিউজ ছাপিয়েছে ৩৬ হাজার৷ একজন জানতে চেয়েছেন চিতাবাঘ বা লেপার্ড কেন ক্যানাইন ডিসটেম্পারে আক্রান্ত হতে পারে না? অন্ধেরিয়া তাঁকে জানিয়েছেন, লেপার্ডদের সঙ্গে কুকুরের পরিচিতি অনেক বেশি৷ লোকালয়ে শিকার ধরার সময় কুকুরই তাদের মূল নিশানা৷ তাই বাঘ ও এশিয়াটিক সিংহের তুলনায় তাদের এ ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি৷ ব্যাখ্যা অন্ধেরিয়ার৷
প্রসঙ্গত সামাজিক মাধ্যমে যে বাঘিনির সারমেয় শিকারের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, সেই সুলতানার সাঙ্কেতিক নাম টি-১০৭৷ পাঁচ বছর বয়সি সুলতানা রণথম্বরের বড় অংশ শাসন করে৷