দেশজুড়ে লকডাউনে মদ মিলছে না বহু জায়গায়৷ ফলে মদের নেশা মিটছে না অনেকের৷ মদের নেশায় বিষাক্ত স্পিরিট খেয়েও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷ মদ না পেয়ে আত্মহত্যা রুখতে কেরল সরকার পারচি সিস্টেম নামে একটি সিস্টেম চালু করেছে৷ এই সিস্টেমে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে মদ কেনা যাবে৷ মদের নেশায় অবসাদ ও আত্মহত্যা রুখতে সরকারি পদক্ষেপ৷
advertisement
কেরলে লকডাউন শুরুর ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই মদ না পেয়ে ৭ জন আত্মহত্যা করে৷ কায়ামকুলামে নৌসদ নামে এক ব্যক্তি মদ না পেয়ে শেভিং লোশন খেয়ে ফেলেছেন৷ মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ রবিবার কোল্লামে এক ব্যক্তি মদের বোতল খুঁজে না পাওয়ায় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে৷ তাঁর মুরলীধরন আচারি৷ তেলঙ্গানায় মদ না পেয়ে ১০ জন মারা গিয়েছেন৷
রঙ্গা রেড্ডি জেলায় ৪০ বছরের পেশায় দিনমজুর এক ব্যক্তি মদ না পেয়ে বৈদ্যুতিন তারে হাত দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে৷ রাময়মপেটে এক ব্যক্তি বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ দিকেই যাচ্ছে৷ হায়দরাবাদের খয়রাতাবাদ এলাকায় সোমবার রাতে এক ব্যক্তি মদ না পেয়ে নিজের গলার নলি কেটে ফেলেছেন৷ হায়দরাবাদের ইন্সস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থে ৩০০ রোগী ভর্তি রয়েছেন৷ এঁরা প্রত্যেকেই লকডাউনের পর মদ না পেয়ে অসুস্থ৷ ওই হাসপাতালের সুপার উমা শঙ্করের কথায়, 'আগে এই হাসপাতালে গড়ে ৫০ জন করে রোগী আসত৷ এখন দিনে ২০০ জন রোগী আসে৷ সবাই মদ না পেয়ে অসুস্থ৷ আর কোনও বেড খালি নেই৷'
অসমের জোরহাটে ২ জন ব্যক্তি মদের নেশা সহ্য করতে না পেরে স্পিরিট খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি৷ বিষাক্ত রাসায়নিক দেওয়া ওই স্পিরিট কোল্ডড্রিঙ্কের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ফেলেন ওঁরা৷ সব মিলিয়ে মদের নেশাতে গোটা দেশেই বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ মারা যাচ্ছেন৷ কারণ, মদের দোকান বন্ধ লকডাউনের জেরে৷