এদিনের চিঠিতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, শিশির অধিকারী লোকসভার স্পিকারের চিঠি পাওয়ার ৪ মাস পর জবাব দিয়েছেন। এত দীর্ঘ বিলম্বিত করে চিঠির জবাব দিয়ে তিনি স্পিকারের পদমর্যাদা লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদীয় আইনের প্রতিটি ধারা তুলে ধরে শিশির অধিকারীর তোলা অভিযোগ খন্ডন করেছেন তিনি।
advertisement
লোকসভার স্পিকারের কাছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, "দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব আবেদনে সাড়া দিয়ে শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।" আগে থেকেই শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল। এর আগে শুনানির দিন ধার্য করা হলেও স্বাধিকার কমিটির রিপোর্টে উপস্থিত থাকতে পারেননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে সেদিন শুনানি হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে দলবদলের বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির নিষ্পত্তি করার কথা বলেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
আরও পড়ুন - Beauty Tips: ‘‘নয়নে কাজল সে তো সবাই পরে’’, এভাবে সাজিয়ে নিন চোখ
তৃণমূলের টিকিটের সংসদ হলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহের সভায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেননি তিনি। তবে, বিধানসভা নির্বাচনে ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করার কথা বলেছিলেন শিশির অধিকারী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের সব সাংসদ বিধায়ক বিধানসভায় ভোট দিলেও বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিশির অধিকারী ভোট দিয়েছিলেন দিল্লিতে লোকসভায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ শিশির অধিকারী । রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দিল্লিতে গিয়ে তিনি ভোট দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তবে যেহেতু তিনি অসুস্থ তাই তাঁর দিল্লি সফর চিকিৎসকরা আদৌ মঞ্জুর করবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।
RAJIB CHAKRABORTY