প্রয়াগরাজ: আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য এবং একাগ্রতা - এই তিন মন্ত্রেই লুকিয়ে রয়েছে সাফল্যের চাবিকাঠি। এটাই আরও এক বার প্রমাণ করে দিলেন উৎকর্ষ। স্থায়ী চাকরি ছেড়ে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য ইউপিপিসিএস ২০২২-এর পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে পিসিএস আধিকারিক হলেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে এক অনন্য নজির গড়েছে। আজ শুনে নেওয়া যাক তাঁর সাফল্যের কাহিনী।
advertisement
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজের চান্দো পাড়ার বাসিন্দা উৎকর্ষ। তাঁর বাবা এলাহাবাদ হাইকোর্টের যুগ্ম রেজিস্ট্রার বিচারপতি বেঞ্চ সচিব হিসেবে কর্মরত। এমনকী তাঁর ছোট ভাইও হাইকোর্টের আইনজীবী। ২০১৪ সালে রেলওয়ে সুরক্ষা পরিদর্শক হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেছিলেন উৎকর্ষ। কিন্তু তাঁর মা শোভাদেবীর বরাবরই স্বপ্ন ছিল ছেলে যেন আধিকারিক হতে পারে। আর এই স্বপ্নের বীজ ছেলের মধ্যেও বপন করেছিলেন তিনি। ফলে শৈশব কাল থেকেই নিজের লক্ষ্যে অটল ছিলেন ওই যুবক।
প্রায় ৬ বছর চাকরি করার পরে সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি শুরু করার জন্য ২০২০ সালে রেলওয়ে সুরক্ষা পরিদর্শকের চাকরি ছাড়েন। এর পর সময় নষ্ট না করে শুরু করে দেন সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি। পূর্ণ একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার জোরে প্রস্তুতি নেওয়ার পরে ইউপিপিসিএস ২০২২-এ বসেন তিনি। আর ফল বেরোতেই ম্যাজিক। দেখা যায়, ওই পরীক্ষায় প্রবন্ধক রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন উৎকর্ষ।
স্বাভাবিক ভাবেই ছেলের এহেন সাফল্যে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত পরিবারের সকল সদস্য। ফলে এখন খুশির বন্যা উৎকর্ষের বাড়িতে। নিজের সাফল্যে খুশি উৎকর্ষও। সাফল্যে প্রসঙ্গে ওই যুবক জানিয়েছেন যে, “নিরন্তর পরিশ্রম ও গুরুজনদের আশীর্বাদের জোরেই এসেছে সাফল্য। শৈশবেই আমি ঠিক করে নিয়েছিলান যে, মা-বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমায় লড়াইয়ের ময়দানে নামতেই হবে।” আর এভাবেই মা-বাবার দেখানো পথেই চলতে চান ওই যুবক। তবে এখনও তাঁর সংগ্রাম শেষ হয়নি। আসলে এই সাফল্যই শেষ নয়, ভবিষ্যতে আরও এমন সাফল্য লাভ করতে চান বলেই জানালেন তিনি। বললেন যে, “এটা অবশ্যই আমার সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। তবে এখন লক্ষ্য, ভবিষ্যতে আমায় আইএএস অফিসার হতেই হবে।”