কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলির একটি স্কুলে সমস্ত ছাত্র একে অপরের গলা চেপে ধরে এবং তারপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবার মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলিতে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে তিন বছরের পরিচয়, বিয়ের দিন জানা গেল পাত্রীর অস্তিত্বই নেই! বরের যা হল…
advertisement
সরকারি পূর্ব মাধ্যমিক বিদ্যালয় পিপরাঝাঁপির ১৪ জন ছাত্র হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপর পুরো স্কুলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত সবাইকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাৎ কালেক্টর ও এসপি-সহ জেলার সব শীর্ষ কর্মকর্তা ট্রমা সেন্টারে উপস্থিত হন এবং ছাত্রদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন।
চিকিৎসকদের ভালো চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন কালেক্টর। পিপরাঝাঁপির সরকারি পূর্ব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির ১৪ জন ছাত্রের হঠাৎ মাথা ঘোরা শুরু হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টর শ্রী চন্দ্রশেখর শুক্লা তৎক্ষণাৎ স্কুলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠান এবং অসুস্থ ছাত্রদের জেলা হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কালেক্টর শ্রী শুক্লা এবং পুলিশ সুপার শ্রী মণীষ খানত্রী ট্রমা সেন্টারে গিয়ে ছাত্রদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং চিকিৎসকদের ভালোভাবে চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে একজন ছোট ছাত্রের মাথা ঘোরে, পরে আরও কিছু ছাত্রের একই সমস্যা দেখা দেয়। তাদের ভালো চিকিৎসার জন্য ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে ছাত্রদের স্বাস্থ্য এখন উন্নতির দিকে এবং কোনো গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। কালেক্টর ও পুলিশ সুপার হাসপাতালে উপস্থিত থেকে প্রতি মুহূর্তে ছাত্রদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সিংরাউলির কালেক্টর জানিয়েছেন যে ছাত্রদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তারা সকলেই বিপদমুক্ত। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
অন্যদিকে বেয়ারেলির ঘটনার সময় ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন যে ছাত্রদের মধ্যে কোনো রোগের লক্ষণ নেই। তারা বলেন ঠান্ডা বা ক্লান্তির কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এটি গ্রুপ হিস্টিরিয়ার ঘটনা হতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে পুরো একটি দল একই ধরনের আচরণ করে। চিকিৎসকরা আরও জানান যে অনেক সময় এটি দলগত আলোচনার প্রভাব হতে পারে এবং পরিবারের মধ্যে কুসংস্কারের প্রভাবও দেখা যায়।