গত ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মূল পর্বের শুনানি। প্রায় সাড়ে তিন মাস চলল এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। শেষ কয়েক সপ্তাহ কার্যত প্রতিদিন শুনানি চলেছে। এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, ‘এই নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে ভাল কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হাওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: বাজারে খেজুরের নামে চিনা জুজুবি বিক্রি হয়! কীভাবে বুঝবেন? আসল খেজুর চেনার সহজ উপায় জানুন
advertisement
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘এটা সুপরিকল্পিত অপরাধ। ঘোষিত শূন্যপদের থেকেও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যে আধিকারিকরা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক। এই সব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত যদি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই অপরাধপ্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে। এই আদালত তো OMR দেখার সুযোগ দিয়েছিল। কজন এসে বলেছেন যে এই OMR আমার নয়?’
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে চালু হচ্ছে নতুন ৪ বিমান, এর মধ্যে দু’টি আন্তর্জাতিক! জানুন
এরপরই বিচারপতি বসাক জানান, ‘বিধিবদ্ধ সংস্থার আধিকারিকদের জন্য ফৌজদারি মামলা তো আছেই।’ তখনই সওয়াল করেন বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী প্রমিত রায়। তিনি বলেন, ‘এসএসসি এবং CBI, কেউই বিশ্বাসযোগ্য নয়। আদালত নিজের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্বাস রাখুক।’
তাহলে কার ওপর আমরা বিশ্বাস করব?, প্রশ্ন বিচারপতির। তবে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতে রায়েরই ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
অর্ণব হাজরা