এদিনের শুনানিতে ৩৭৫ ধারায় ২ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা তুলে ধরে বলা হয়, যদি স্ত্রীয়ের ব.স ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়। যদিও বিভিন্ন মহলের দাবি, মত বিবাহিত মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট করবে। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবিতে দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হয়। সেদিন থেকে চলছে দৈনিক শুনানি। আজ ছিল সেই মামলার রায়দান। অর্থাৎ বৈবাহিক ধর্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ কিনা, তা নিয়ে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার আরও এক পদক্ষেপ, সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক! অর্জুন সিংকে ঘিরে তুঙ্গে শোরগোল
যদিও দুই বিচারপতি ভিন্ন মত দেওয়ায় তা করা যায়নি। বৈবাহিক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবিতে মামলা করে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের দাবি, যদি খুন, মারধরের মতো ঘটনা অপরাধ হয়, তাহলে কেন বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলা হবে না। এর আগে কর্নাটকের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন মন্তব্য করেন, ধর্ষক যেই হোক না কেন, সেটা অপরাধই, স্বামী হলেও তা অপরাধ। ২০১৭ সালে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে হলফনামা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: বিধায়ক পদে শপথ নিয়েই এ কী বললেন বাবুল সুপ্রিয়! বিড়ম্বনা বাড়ল তৃণমূলের
কারণ, সরকারের যুক্তি, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠান ভঙ্গুর হয়ে যাবে এবং স্বামীদের হেনস্থার একটি হাতিয়ার হয়ে উঠবে। যদিও পরে আবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, আগেরবারের মত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।