জানকীর লড়াইটা কিন্তু অতটাও সহজ নয়। কারণ তিনি আসলে অন্যান্য সুস্থ মহিলাদের মতো নন। জানকী ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। হাঁটতে-চলতে পারেন না। তবে পারিবারিক দায়-দায়িত্ব বহনের দায়িত্বে বাকি মহিলাদের মতোই লড়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্বামী সংসারের প্রতি উদাসীন। ফলে দুই কন্যার দায়িত্ব এবং সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন জানকী। কিন্তু কীভাবে? ফলের দোকান চালিয়েই সংসার টানছেন তিনি। ইন্দোরের এমওয়াই হাসপাতালের গেটের কাছেই তাঁর ফলের দোকান। আর এভাবেই স্বনির্ভর হয়ে রীতিমতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেই সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের অনুপ্রেরণাও জোগাচ্ছেন।
advertisement
জানকীর কথায়, “স্বামী মাদকে আসক্ত। সংসারের দায়িত্ব পালন করায় প্রবল অনীহা তাঁর। সেই কারণে একটি ফলের দোকান দিয়েছি। যেখান থেকে দিনে প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। যেহেতু চলাফেরা করতে পারি না, তাই স্কুটি চালিয়েই যাতায়াত করি।” আসলে জানকীর কঠোর পরিশ্রম দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইন্দোরের জেলাশাসক। সেই সহায়তাতেই স্কুটি কিনেছিলেন তিনি।
জানকীর এমন হার না মানা মনোভাব দেখে আশপাশের মানুষও আপ্লুত। আর কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী জানকী বলেন যে, “আমার দুই মেয়ের মধ্যে এক জনের বয়স ১১ বছর আর অন্য জনের বয়স ৬ বছর। ফলে সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার স্বপ্ন রয়েছে। আর তারা যাতে একটা ভাল জীবন পায়, সেটা দেখাটাও আমারই দায়িত্ব। আর আমার স্বামী যদি আমার পাশে না-ও থাকে, তাতেও আমার কিছু যায়-আসে না। আমি আমার মেয়েদের ভাল মানের জীবন দেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাব।”