বর্তমানে মোটরসাইকেলে স্বামীর সঙ্গে বিহার হয়ে নেপালের দিকে রওনা হয়েছেন ওই তরুণী। তার আগে তিনি বলেন, “ভারতের মানুষ খুবই ভাল। আমি তাঁদের দোষ দিচ্ছি না। বরং আমি অপরাধীদের দোষারোপ করছি। এখানকার মানুষ আমার সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করেছেন। তাঁরা খুবই ভাল।’’ ঝাড়খণ্ডে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য এই অপরাধের পরেও দমে যাননি ওই মহিলা। তিনি জানান, আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বভ্রমণ চালিয়ে যাবেন তিনি।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাঁসডিহা থানা এলাকার কুরুমাহাটে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবতী। স্বামীর সঙ্গে তাঁবুতে রাত কাটাবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি। প্রায় ছ’ বছর ধরে ঘোরাঘুরি করছেন ওই যুবতী। তিনি বলেন, “আমরা ওই জায়গায় রাতটা কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ জায়গাটি ছিল শান্ত এবং সুন্দর। আমি ভেবেছিলাম যে, ওখানে একা রাত কাটালেও কোনও অসুবিধা হবে না।”
আরও পড়ুন : বিহারের গতিতে নতুন ডানা, রক্সৌল-যোগবাণী নতুন এক্সপ্রেস উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “গত ৬ মাস ধরে আমরা ভারতে রয়েছি। প্রায় ২০০০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছি। কোথাও তো কোনও সমস্যা হয়নি। প্রথম বার জন্য এমনটা হল। যদিও ভারতে আমার স্মৃতি খুবই ভাল।” স্প্যানিশ ওই মহিলা আরও বলেন যে, “আমি কিছু মানুষকে বিশেষ করে মেয়েদের এটা বলতে চাই, এই বিশেষ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য নিজেদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। আমি জানি, এটা কঠিন। কিন্তু অসাধ্য নয়। ভুলে যাওয়াও চলবে না, কিন্তু অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”
দুমকার সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ পীতাম্বর সিং খেরাওয়ার বলেন, ওই দম্পতি বিহারের দিকে রওনা হয়েছেন। সেখান থেকেই তাঁরা নেপালে পৌঁছবেন। আর এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য ওই যুবতীর স্বামী ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশকে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আরও ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুমকা এসপি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।