বন্যপ্রানী বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও একটি চিতার ঘোরাঘুরির জন্য অন্তত ১০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা প্রয়োজন। আর কুনো ন্যাশনাল পার্কে মোট এলাকা হচ্ছে ৭৪৮ বর্গ কিলোমিটার। আর তার লাগোয়া ৪৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা হচ্ছে বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল। অর্থাৎ বিদেশ থেকে আনা ওই চিতার জন্য এই পরিমাণ এলাকা যথেষ্ট নয়।
advertisement
আরও পড়ুন-- LPG Cylinder new price: এক ধাক্কায় ১৭১ টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম! তবু স্বস্তি নেই মধ্যবিত্তের, কেন?
যাদবেন্দ্র বিক্রমসিং ঝালা, ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ডিন সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সাড়ে সাতশো বর্গ কিলোমিটার এলাকা এতগুলি চিতার জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। এই ধরনের চিতা সংরক্ষণ প্রকল্পে আগেও কাজ করেছেন যাদবেন্দ্র ঝালা। তাঁর বক্তব্য, ‘আদপে কুনো ন্যাশনাল পার্কের মোট এলাকা পাঁচ হাজার বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু তাঁর মধ্যে একটা বড় অংশই কৃষিক্ষেত্র, আর বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর বসবাসের এলাকা।’
ওই এলাকাটি যে বিদেশ থেকে আনা চিতাদের জন্য যথেষ্ট নয় তা বুঝেই ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশের বন দফতরের তরফে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি যে তারা এনটিসিএ-কে ইমেল করে জানিয়ে দিয়েছেন, সে কথা মধ্যপ্রদেশ বন দফতরের এক আধিকারিক ইতিমধ্যে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন। অবশ্য সে বক্তব্যের কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বন দফতরের আধিকারিকরা পাননি বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।