তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লড়তে এবার আদাজল খেয়ে নেমেছেন কংগ্রেস বাম এবং আইএসএফ-এর সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু তার ফল যা হয়েছে তা অতি বাম-কংগ্রেস বিরোধীযও ভাবতে পারেনি। ৪০ বছরে প্রথম বার বিধানসভায় নেই বাম-কংগ্রেস। অধীর এই জোটের গাঁটছড়া বাধলেও রাজনৈতিক মহলে একটি চালু মত, প্রাথমিক ভাবে মমতার সঙ্গে দূরত্ব চাননি কংগ্রেস হাইকমান্ড। এমনকি রাজ্য কংগ্রেসের একটি লবি থেকে এই বিধানসভায় তৃণমূল- কংগ্রেস জোট এর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তবে অধীরের নেতৃত্বেই মোর্চা তৈরি হওয়ায় সেই সমঝোতার সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।
advertisement
এমনকি অধীর চৌধুরী বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সখ্য বজায় রাখলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেন তাঁর চির বৈরিতা। কংগ্রেসের একটা বড় অংশই মনে করছে অধীর চৌধুরীর এই মনোভাবের কারণে মুর্শিদাবাদেও জমি হারিয়েছে দল। আর তার ফায়দা গিয়েছে তৃণমূলেরই ঘরে। স্বাভাবিক ভাবেই সামনে সর্বভারতীয় নির্বাচনে এই ভুলগুলিকে শোধরাতে চায় কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রীকে চাঁচাছোলা আক্রমণের লাইন থেকে সরতে চান কংগ্রেস সুপ্রিমো। হাত শক্ত বলে মোদি বিরোধিতার সুর চড়ানো সহজ হবে, এমনটাই নাকি মত কংগ্রেসের অন্দরমহলে। আর এই সেতুবন্ধনের পথে অধীর চৌধুরী যাতে কোনও ভাবেই যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই সোনিয়া গান্ধী দলনেতার পদ থেকে তাঁকে সরাতে চান, এমনটাই মত পর্যবেক্ষকদের। অধীর চৌধুরী অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
অধীর চৌধুরীর বিকল্প কে, এই প্রশ্নও উঠছে জল্পনা চাউর হতে। রাজনৈতিক মহলে চাউল শশী থারুর, আনন্দপুর সহিব, মণীশ তিওয়ারি- এই তিনজনের মধ্যে একজনকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারে কংগ্রেস।