চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চে থেকে অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা এমন একটা দেশে বাস করছি যেখানকার শাসকরা সংবিধান মানেন না। আমরা পুলিশের দ্বারা শাসিত হচ্ছি, তাঁরাও সংবিধানের তোয়াক্কা করেন না। এমনকি আদালতও সংবিধানের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারছে না।” অভিনেত্রীর এই মন্তব্য থেকেই শুরু হয় বিতর্ক ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার মামলা করেন আইনজীবী অনুজ সাক্সেনা ৷
advertisement
নিয়ম অনুসারে কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা শুরু করার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল অথবা সলিসিটর জেনারেলের অনুমতি নিতে হয় ৷ সেই হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালের কাছে পিটিশন পৌঁছলে গত শনিবার তিনি মামলার ফৌজদারি আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি খারিজ করে দেন ৷ কে কে বেণুগোপাল বলেছেন, “আমার মনে হয়, ওই বক্তব্য কোনও ভাবেই আদালত অবমাননার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না। এটা এমন একটা ব্যাপার যেখানে আদালতের কর্তৃত্বকে ছোট করার মত কিছু ঘটেনি ৷ তাই আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিচ্ছি না ৷”ফের বিষয়টি এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে পৌঁছলে তিনিও যাচিকা খারিজ করে দেন ৷
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল। সেই মামলার রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হলেও ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বরের ঘটনার নিন্দা করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজো নিজে হাতে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।