জানা গিয়েছে, ছুটি কাটাতেই সস্ত্রীক পুরী গিয়েছিলেন স্নেহাশিস৷ গত শনিবার পুরীর সমুদ্রে স্পিড বোটে চড়ে ঘুরতে গিয়েই বিপদে পড়েন গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি৷ দুর্ঘটনার ভিডিও-ও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে৷
এনডিটিভি-কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অর্পিতা অভিযোগ করেছেন, নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতার থেকে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সমুদ্রে যেতে গিয়েই বিপদে পড়ে ওই স্পিড বোটটি৷ যাত্রী কম থাকায় ওজন হাল্কা হওয়ায় ঢেউয়ে ধাক্কায় বেসামাল হয়ে গিয়েই স্পিড বোটটি উল্টে যায়৷
advertisement
অর্পিতা বলেন, সমুদ্র খুবই উত্তাল ছিল৷ স্পিড বোটে দশজন বসার ব্যবস্থা ছিল৷ কিন্তু মাত্র তিন-চারজন যাত্রী নিয়েই স্পিড বোটটি ছেড়ে দেয়৷ সমুদ্রে যাওয়ার জন্য ওটাই শেষ স্পিড বোট ছিল৷ আমরা যাত্রী কম থাকা নিয়ে আপত্তি করলেও স্পিড বোটের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানিয়েছিলেন, কোনও অসুবিধা হবে না৷
যদিও স্পিড বোটটি রওনা দিতে না দিতেই একটি বড়সড় ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায়৷ আতঙ্কিত অর্পিতার কথায়, লাইফগার্ডরা দ্রুত উদ্ধার না করলে আমরা হয়তো বাঁচতাম না৷ আমি এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি৷ আরও বেশি যাত্রী থাকলে হয়তো এই দুর্ঘটনা ঘটত না৷
এই দুর্ঘটনার পর এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন অর্পিতা৷ তিনি বলেন, ‘পুরীর সমুদ্র যথেষ্ট উত্তাল থাকে৷ কলকাতায় ফিরেই এখানে ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী এবং পুরীর পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখব আমি৷’