এ দিন সোমেন জায়া দাবি করেন, তিনি তৃণমূল ত্যাগ করেনি কখনও, যা ছিল তা নিছকই মতানৈক্যজনিত দূরত্ব। তাঁর কথায়, আমি কখনও তৃনমূল কংগ্রেস ছাড়িনি ,সরে এসেছিলাম, মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল। কী ভাবে ফের সংযোগ তৈরি হলো তৃণমূলের সঙ্গে! সোমেন জায়ার উত্তর, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন, মমতার মানসিকতা অনেক উঁচু।" শিখার মূল কথা, কংগ্রেস তৃণমূলের মতের খুব বেশি ফারাক নেই। ফলে তিনি যোগ্য়তমকেই বেছে নিচ্ছেন এখন, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
advertisement
ভোটের সময় থেকেই প্রদেশ কংগ্রেসের দুই শিবিরের মতানৈক্য স্পষ্ট। কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম-এর জোট, তৃণমূলের সঙ্গে নেতৃত্বের দূরত্ব, সব ক্ষেত্রেই অধীর চৌধুরীর শিবিরকে দোষী করে এসেছেন সোমেন-ঘনিষ্ঠরা। এদিন অধীর চৌধুরী বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শিখা মিত্র। অধীর চৌধুরী কথা ওঠায় তিনি বলেন, এই রাজ্যে কংগ্রেসের নেতৃত্বের অবস্থা খুব খারাপ। সেই জন্যেই শূন্য হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি সম্পর্কে শিখার মত, বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক দল।
উল্লেখ্য প্রবীণ এই নেত্রীর মুখে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতিও শোনা গিয়েছে। ভোটপর্বে এবং তার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তার প্রসঙ্গে শিখা মিত্রর মন্তব্য, অভিষেক খুব ভালো কাজ করছে।
সোমেন মিত্রর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘসময়ের সম্পর্ক সুবিদিত। সেই সুবাদেই মমতা-শিখা ঘনিষ্ঠতা। ভোটের সময়ে হঠাৎ চাউর হয় শিখা মিত্র নাকি বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন। সেই তত্ত্ব নস্যাৎ করে দেন শিখা নিজেই। তবে এবার কোনও ঢাকঢাক গুড়গুড় নেই, তৃণমূলেই নতুন করে ইনিংস করতে শুরু করতে চলেছেন শিখা মিত্র।