প্রধান বিচারপতি এ দিন মামলাকারীর উদ্দেশে বলেন, ‘প্রথম তাঁরা বেআইনি ভাবে এ দেশে প্রবেশ করবেন৷ সুড়ঙ্গ দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে চলে আসবেন৷ তার পরে দাবি করবেন, আমরা যেহেতু চলে এসেছি এ দেশের আইনি অধিকার আমিও পাবো৷ তাঁরা দাবি করবেন, তাঁদের খাদ্য, বাসস্থানের অধিকার রয়েছে৷ তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার রয়েছে৷ আমরা কি এভাবে আইনের পরিসরকে টেনে হিঁচড়ে বাড়িয়ে দেবো?’
advertisement
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশেও গরিব মানুষ রয়েছে৷ তাঁরাও এ দেশের নাগরিক? তাঁরা কি কোনও সুযোগ সুবিধা পাবেন না? তাঁদের দিকে কেন নজর দেওয়া হচ্ছে না?’ এই ধরনের ঘটনায় ‘হেবিয়াস করপাস’-এর মতো আবেদন করা কল্পনাপ্রসূত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি৷ হেবিয়াস করপাসের আবেদন হলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তিকে আদালতে সশরীরে হাজির করাতে হয়৷ যাতে আদালত বিচারপতি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হেফাজতে রাখার প্রক্রিয়া আইন মেনে হচ্ছে কি না৷
তবে প্রধান বিচারপতি একতম হয়েছেন যে কোনও অনুপ্রবেশকারীর উপরেও ‘থার্ড ডিগ্রি’ প্রয়োগ করা উচিত নয়৷ একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের এখনও শরণার্থীর স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শরণার্থীর স্বীকৃতি না থাকা কোনও অনুপ্রবেশকারী বেআইনি ভাবে আমাদের দেশে ঢুকে পড়লে তাঁকে এখানে রাখার কোনও দায় কি আমাদের আছে? উত্তর ভারতে আমাদের সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত সংবেদনশীল৷ কোনও অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়লে কি তাঁর জন্য আমাদের লাল কার্পেট বিছিয়ে দিতে হবে?’
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই রোহিঙ্গারা নিজেরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এই মামলার শুনানিরই যৌক্তিকতা নেই৷ দু পক্ষের বক্তব্য শুনে শীর্ষ আদালত শুনানি ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে৷ যেদিন রোহিঙ্গাদের সম্পর্কিত অন্যান্য মামলাও তালিকাভুক্ত রয়েছে।
