একইসঙ্গে রাউত দাবি করেন, ‘দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে চান না ৷ তার বদলে কংগ্রেস কিংবা জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া দেশবাসীর কাছে অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য ৷’
‘সামানা’ ৷ শিবসেনার প্রকাশিত দলীয় পত্রিকায় বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন রাউত ৷ বলেন, ‘শিবসেনার সবথেকে বড় রাজনৈতিক শত্রু বিজেপি ৷’ তাঁর দাবি, শিবসেনার একপেশে হিন্দুত্ববাদই বিজেপির পক্ষে সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ যার জেরেই এই শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের ভাঙন হয়েছে ৷
advertisement
পালঘর লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপির জয়ের পরই যে দুই দলের মধ্যেকার সম্পর্কের ছেদ প্রকট হয়েছে, তা রাউতের কথায় এদিন আরও স্পষ্ট হল ৷ তিনি বলেন, ‘পালঘরে গত ২৮ মে নির্বাচন চলাকালীন একাধিক ইভিএম মেশিন বিকল হয়ে যায় ৷ প্রায় ১০০ টি মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ার খবর আসে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ৷ তাই নির্বাচন কমিশনকে ভোটের সময়সীমা কিছুটা বাড়ানোর জন্য আমরা অনুরোধ জানাই ৷ কিন্তু সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷ অপরদিকে, বিজেপি প্রার্থী রাজেন্দ্র গাভিত এই একই দাবিতে সওয়াল করলে তাঁর দাবি গ্রহণ করা হয় ৷’
শুধু তাই নয় ৷ যেসমস্ত পোলিং স্টেশনে ভোটের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের দাবি মেনে সেখানে ১০০টি অতিরিক্ত ভোট বিজেপি তাদের পকেটে পুড়েছে ৷ যার জেরে প্রায় কয়েক হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি ৷ অন্যদিকে আবার প্রায় ৬০ হাজার প্রার্থী ভোটই দিতে পারেননি ৷
পালঘরে বিজেপির জয় নিয়েও বিস্ফোরক দাবি করেন রাউত ৷ তিনি দাবি করেন, ‘অর্থের অপব্যবহার করেই পালঘরে জিত হাসিল করেছে বিজেপি ৷ এমনকি, শিবসেনাকে হারালেও এখনই শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানতে চাইছে না বিজেপি ৷’