সিবিআই-এর মতে, শিনা হত্যায় অর্থই আসল মোটিভ। সূত্রের খবর, গোয়েন্দা আধিকারিকরা পিটারের থেকে তাঁর সমস্ত ধরনের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য চাইবেন। এইচডিএফসি, বারক্লেস এবং কোটাক মাহিন্দ্রা-র মতো ব্যাঙ্কে ইন্দ্রাণী এবং পিটারের যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট আছে তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই। এছাড়া বেনামে এই মুখোপাধ্যায় দম্পতির আর কোনও অ্যাকাউন্ট আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। দিল্লিতেই সম্ভবত হতে চলেছে পিটারের লাই ডিটেক্টর টেস্ট ৷
advertisement
রবিবার রাহুলের দেওয়া নথি এবং ই-মেলের বিস্তারিত কথোপকথন হত্যারহস্যের ধোঁয়াশা অনেকটাই কাটিয়ে তুলেছে। পিটার পুত্র এবং শিনার প্রেমিক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে সিবিআই এই কেসের এক গুরুত্বপূর্ণ ‘লিঙ্ক’ বলে মনে করছে। রাহুলের দেওয়া তথ্য এবং নথি থেকে এটা স্পষ্ট, শিনা ইন্দ্রাণীকে ব্ল্যাকমেল করতেন। হুমকি দিতেন তাঁর দাবি না মেটানো হলে শিনা ফাঁস করে দেবেন যে ইন্দ্রাণী বোন নন, তাঁর মা। তদন্তকারীদের মতে, রাহুলের সঙ্গে এনগেজমেন্টের পর, তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ‘মা’ ইন্দ্রাণীর থেকে মুম্বইয়ে একটি তিন বিএইচকে ফ্ল্যাটের দাবি করেছিলেন শিনা।
এপ্রিল ২০১২ পর থেকে রাহুল বাবা পিটার এবং সৎ-মা ইন্দ্রাণীকে যে সমস্ত ই-মেল পাঠিয়েছিলেন, সেগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলেছে। ২৪ এপ্রিল ২০১২ পর থেকে শিনার রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যাওয়া ভাবিয়ে তুলেছিল রাহুলকে। বাবা এবং সৎ মা’র থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় রাহুলের সন্দেহ আরও বাড়ে। পিটার ও ইন্দ্রাণীর সঙ্গে ফোনে হওয়া যাবতীয় কথোপকথন রেকর্ড করতে থাকেন রাহুল। সেই সব অডিও ফাইল সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাহুলের সঙ্গে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর আশা করা যায় শিনা হত্যা মামলার বাকি অধরা সূত্রগুলির সন্ধান মিলবে।