১৯৯৯ সালে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি-র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাওয়ার৷পাওয়ারের পর এনসিপি প্রধানের পদে কে বসবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ গত কয়েকদিন ধরেই ভাইপো অজিতের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের সংঘাতের খবর সামনে আসছিল৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সেই অজিত পাওয়ারকে পাশে বসিয়েই নিজের আত্মজীবনী প্রকাশের অনুষ্ঠানে দলের সভাপতির পদ ছাড়ার ঘোষণা করেন মহারাষ্ট্রের চার বারের মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার৷
advertisement
আরও পড়ুন: আগামিকাল বনধ, একশো জায়গায় অবরোধ! নিজের জেলায় বিরাট ঘোষণা করলেন শুভেন্দুর
পদত্যাগের কথা জানিয়ে পাওয়ার বলেন, 'গত ছ' দশক ধরে মহারাষ্ট্রের মানুষ আমাকে যে ভালবাসা এবং সমর্থন দিয়েছেন, তা ভোলার নয়৷ কিন্তু এখন নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে৷'
পাওয়ারের এই ঘোষণা অবশ্য মেনে নিতে পারেননি দলের কর্মী- সমর্থকরা৷ পাওয়ারের ঘোষণার পর তাঁদের অনেকের চোখে জল দেখা যায়৷ ভবিষ্যতে দল কোন পথে এগোবে, তা ঠিক করতে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে প্যানেলও তৈরি করে দিয়েছেন পাওয়ার৷ অনেকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য পাওয়ারকে অনুরোধও করতে শুরু করেন৷ তা না হলে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন ওই দলের ওই কর্মী সমর্থকরা৷ তাতেও অবশ্য নিজের সিদ্ধান্ত বদলাননি প্রবীণ নেতা৷ দলের অন্যতম পুরনো নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলও জানান, এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে কাউকেই কিছু জানাননি পাওয়ার৷
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে ক্ষমতায় ফিরলে এনআরসি, দেওয়ানি বিধির পাশাপাশি বিনামূল্যে সিলিন্ডার, দুধের প্রতিশ্রুতি বিজেপির
যদিও কর্মী সমর্থকদের আশ্বস্ত করে পাওয়ার বলেন, আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি৷ তবে এনসিপি প্রধান হিসেবে নয়৷ অজিত পাওয়ারও দাবি করেন, দলের পরবর্তী সভাপতি শরদ পাওয়ারের অভিভাবকত্বেই কাজ করবেন৷
গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অজিত পাওয়ার৷ তা নিয়েই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত চলছিল বলে খবর৷
এ দিন শরদ পাওয়ারের পদত্যাগের পরেও অজিতের বিজেপি-তে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে থাকল৷ ঠিক ১৫ দিন আগেই শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে দাবি করেছিলেন, 'আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজনীতির আঙিনায় বিস্ফোরক দুটি ঘটনা ঘটবে৷' সুপ্রিয়ার দাবি ছিল, এর একটি ঘটবে দিল্লিতে, অন্যটি মহারাষ্ট্রে৷ এ দিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আবার হুমকি দিয়ে রেখেছেন, সত্যিই যদি অজিত পাওয়ার এনসিপি ভেঙে বিজেপি-তে যোগ দেন, তাহলে তিনি বিজেপি-র সঙ্গে থাকা জোট সরকার ভেঙে বেরিয়ে আসবেন৷