অরুণাচল প্রদেশ: ভূমিধস ও বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু
অরুণাচল প্রদেশের ইস্ট কামেং জেলার বান-সেপ্পা জাতীয় সড়ক (NH 13)-এর একটি অংশে ভূমিধসের ফলে একটি গাড়ি গভীর খাদে পড়ে যায়। শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুটি পরিবারের সাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সবাই বানার কিচ্যাং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানিয়েছেন ইস্ট কামেং-এর পুলিশ সুপার কামদাম শিকম।
advertisement
অন্যদিকে, লোয়ার সুবনসিরি জেলায় জিরো-কামলে রোডের পাশে পাইনের জঙ্গলের কাছে একটি বাঁধাকপি খেতের উপরে ধস নামায় দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। আহত দু’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ভয়ঙ্কর বৃষ্টিতে রাজ্যে রাজ্যে দুর্যোগ, ভূমিধস, হড়পা বান! দু’দিনে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু
অসম: বন্যায় ডুবে ৮, ধসে মৃত্যু ৫ জনের
অসমে বন্যা ও ভূমিধসে মোট ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। লখিমপুর জেলাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে প্রায় ৪১,৬০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে প্রায় ৭৮,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
ধসে কামরূপ মেট্রো জেলার পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে বন্যার জেরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে গোলাঘাটে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে লখিমপুরে।
অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ASDMA) জানিয়েছে, রাজ্যের প্রায় সব বড় নদীর জলস্তর বাড়ছে। অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয় থেকে আসা অতিরিক্ত বৃষ্টির জল পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। ইতিমধ্যে তিনটি জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ এবং আটটি জেলায় ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে।
মিজোরাম: ভূমিধসে প্রাণ হারালেন ৬, তিনজন মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থী
মিজোরামের চাম্পাই জেলার ভাফাই গ্রামে শনিবার একটি ভয়ঙ্কর ভূমিধস ঘটে। ভারত-মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকা মায়ানমারের একটি শরণার্থী পরিবার চাপা পড়ে যায়। মৃত্যু হয় তিনজনের, যাঁদের বয়স ৩৪ থেকে ৭১ বছরের মধ্যে। ওই পরিবারটি ২০২১ সালে মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর পালিয়ে ভারতে এসেছিল। আহত হয়েছেন একজন। এই ভূমিধস ও বৃষ্টিজনিত নানা ঘটনায় মিজোরামে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।