অবশেষে এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল মধ্যপ্রদেশ সরকার৷ এই ঘটনায় পূর্ত দফতরের দু জন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ মোট সাত জন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ অবসরপ্রাপ্ত একজন সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব জানিয়েছেন, ওই সেতুর নির্মাণকারী এজেন্সি এবং ডিজাইন কনসালট্যান্টকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷ ত্রুটিপূর্ণ নকশা সারিয়ে ওই সেতুটি কীভাবে চালু করা যায়, তা ঠিক করতে একটি পরামর্শদাতা কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷
advertisement
প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেল ওভারব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ নিউ ভোপালের সঙ্গে মহামাই কা বাগ, পুষ্পা নগর, স্টেশন এলাকার যোগাযোগ সহজ করতেই এই সেতুটি তৈরি করা হয়৷ এর ফলে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন৷ কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরই সেতুর ত্রুটিপূর্ণ নকশার ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়৷ ৯০ ডিগ্রির এই বাঁক দিয়ে কীভাবে যানবাহন চলাচল করবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে৷ সেতু নির্মাণের সময় কেন এই বিষয়টি কারও নজরে পড়ল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে৷
যদিও সেতু নির্মাণের ইঞ্জিনিয়ারদের যুক্তি ছিল, জমির অভাবেই বাধ্য হয়ে তাঁদের সেতুর এমন নকশা করতে হয়েছে৷ আর সামান্য জমি পেলেই যে সেতুর ওই বাঁক যথাযথ ভাবে নির্মাণ করা যেত, সেকথাও জানিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা৷ ত্রুটি সারিয়ে কীভাবে সেতুর উদ্বোধন করা যায়, এখন সেই চেষ্টাই চলছে৷