২০১৭ সালের আগস্ট মাসে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ঔরঙ্গাবাদ অফিসে কর্মরত মহারাষ্ট্র সরকারের শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর কিশোর পরাশর। এরপরই তাঁর স্ত্রী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান। অভিযোগে বলা হয়, অত্যন্ত বেশী কাজের চাপেই কিশোরবাবু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছুটির দিনেও কাজ করতে বাধ্য করা হত তাঁকে ৷ পাশাপাশি বেতন বন্ধ করা, বেতন বৃদ্ধি না করার মতো হুমকিও দিয়েছিলেন আধিকারিকরা, এমনটাই জানান কিশোরবাবুর স্ত্রী। এরপরেই কিশোরবাবুর সিনিয়র অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ঔরঙ্গাবাদ পুলিশ।
advertisement
২৩শে জানুয়ারি এফআইআর রদ করার আর্জি খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানায়, এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনা না দেওয়া হলেও, মৃত ব্যক্তির জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যার ফলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাই অনিচ্ছাকৃত ভাবেও যদি উচ্চকর্তা তার কর্মীর মানসিক উদ্বেগের কারণ হন, তাহলে পরোক্ষভাবে কর্তৃপক্ষ কর্মচারীর আত্মহত্যার জন্য দায়ী হবেন।
আরও পড়ুন ঃস্বাধীনতার মত ধর্মীয় স্বাধীনতাও মানুষের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ : মার্কিন রাষ্ট্রদূত
এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যান ওই অভিযুক্ত সিনিয়র অফিসার। এই অফিসারে বিরুদ্ধে আর্জি জানান মহারাষ্ট্র সরকারের পরামর্শদাতা নিশান্ত কাটনেসওয়ারকার । কিন্তু হাইকোর্টের রায়কে অসমর্থনযোগ্য বলে সুপ্রিম কোর্ট এফআইআর টি খারিজ করে দেয়। জাস্টিস ললিতের রায় অনুযায়ী 'ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মহত্যার কারণ তৈরি করলে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এই ঘটনায় পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই । তাই এখানে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন'|
আরও পড়ুন ঃ স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে জরুরি অবস্থা: প্রকাশ জাভড়েকর