সীমার দেওয়া এই তথ্যেই এ বার ধরা পড়ল অসঙ্গতি। গণেশ নামে নেপালের ওই হোটেলমালিকের দাবি মার্চ মাসে ৭-৮ দিন তাঁর হোটেলে ছিলেন সচিন ও সীমা। তবে তাঁরা ঘর থেকে বেশি বার হতেন না। বিকেলে হয়তো মাঝে মাঝে হোটেল থেকে বেরতেন। তবে ফিরতেন তাড়াতাড়ি। কারণ রাত ৯.৩০-১০ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ওই হোটেল।
advertisement
তবে হোটেলে একসঙ্গে যাননি সচিন ও সীমা। আগে থেকে বুকিং করে রাখা হোটেলে যেদিন সচিন যান, তার একদিন পর পৌঁছন সীমা। তাঁর পরিচয় সচিন দিয়েছিলেন নিজের স্ত্রী বলে। হোটেল ছেড়ে যাওয়ার সময়েও তাঁরা আলাদা আলাদাই বার হন। দাবি গণেশের। এবং সবথেকে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, হোটেল ম্যানেজার জানিয়েছেন সীমার সঙ্গে তাঁর সন্তানরা ছিল না।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড ১২ ঘণ্টা জেরা করে সীমাকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সচিন এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল সিং-কেও। গ্রেটার নয়ডায় সচিনের ভাড়াবাড়িতেই স্ত্রীর পরিচয়ে সন্তানদের নিয়ে থাকতেন সীমা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন তাঁর আচরণে সন্দেহজনক কোনও কিছু কোনওদিন ধরা পড়েনি।
সীমা জানিয়েছেন তিনি মরে যাবেন, কিন্তু পাকিস্তানে ফিরবেন না। তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলেও দাবি সীমার। গোয়েন্দাদের জেরাতেও তিনি বার বার বলেছেন পাবজি খেলার সূত্রেই সচিনের সঙ্গে তাঁর আলাপ এবং প্রেম। প্রেমিকের টানেই তিনি ভারতে আসেন এবং বিয়ে করেন।
তাঁর এই দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁর মোবাইলের তথ্য। তিনি আইএসআই-এর চর কিনা, বা কোনও জঙ্গি সংস্থার ফিদায়েঁ কিনা-সেই আশঙ্কারও সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।