পুলিশ সূত্রে খবর, এক সরকারি স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। এরপর ওই শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে গুলি করে হত্যা করে তারা। ওই শিক্ষকের নাম সুনীল (৩৫) এবং তাঁর স্ত্রী পুনম (৩২)। পুলিশের বক্তব্য, শহরের ভবানী নগরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ওই শিক্ষক এবং তাঁর পরিবার। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯টি শেল এবং ১টি লাইভ কার্টরিজ। অমেঠির সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (এসপি) অনুপ কুমার সিং বলেন যে, সুনীল আদতে রায়বরেলির বাসিন্দা। পানহৌনার একটি সরকারি স্কুলে পোস্টিং ছিল তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কৃষ্ণনগরে যুবতী মৃত্যুতে বিরাট রহস্য! ধর্ষণের পরে খুন করেছে প্রেমিকই? বীভৎস অভিযোগে আটক ৩
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, শিডিউলড কাস্ট এবং শিডিউলড ট্রাইব (নৃশংসতা প্রতিরোধ), ১৯৮৯ আইনের আওতায় এবং ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে চন্দন ভার্মা বলে জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ওই পরিবারটি। ওই মামলার সঙ্গে এই খুনের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি পর্যালোচনা করে দেখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এমনকী তিনি এই ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশও করেছেন। আততায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। হিন্দি এক্স প্ল্যাটফর্মে যোগী আদিত্যনাথ বলেন যে, “আজ অমেঠি জেলায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্যও বটে! মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই গভীর দুঃখের মুহূর্তে মৃতদের পরিবারের পাশে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই ঘটনায় অপরাধীদের কোনও মূল্যে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে বিরোধী দলনেতা তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে একটি রহস্যজনক ক্যাপশনও দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “কেউ কি আছেন? কোথাও কি আছেন?”