সোমবার দিল্লির বাতাসে দূষণের পরিমান ছিল ৪৩৭, দিল্লির কোনও কোনও জায়গায় রবিবার এই সূচকই ছুয়েছিল ৯৯৯। গাড়ি থেকে বেরনো ধোঁয়া ছাড়াও দিল্লির এই প্রবল দূষণের জন্য হরিয়ানা,পাঞ্জাবে ফসল তুলে নেওয়ার পর শস্যের গোড়া পোড়ানোকেই দায়ি করেছে দিল্লি সরকার।
দিল্লিতে ভয়াবত দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা। সাত-সাতটি প্রশ্ন করেছে বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। কোনওটারই ঠিকঠাক জবাব এল না। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
advertisement
পঞ্জাব-হরিয়ানায় খড় পোড়ানোর বড় ভূমিকা রয়েছে দিল্লির দূষণে। সেটা বন্ধেও এ দিন কড়া নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। খড় পোড়ানো অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন ঘটনায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। আধিকারিকরাও ছাড় পাবেন না।
আগামী বুধবার উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানার মুখ্যসচিবের হাজিরা। পরিবেশমন্ত্রকের সচিবকেও আদালতে আসতে হবে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে আপাতত যে কোনও নির্মাণ নিষিদ্ধ। ওড ইভেনে দূষণ কমা নিয়ে আদালতে তথ্য দিতে হবে।
দিল্লিতে ভয়াবহ দূষণ শীর্ষ আদালত উদ্বিগ্ন। বারেবারেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা। তাদের প্রশ্ন, দূষণ পরিস্থিতি ভয়াবহ। কেউ নিরাপদ নন। সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারা নাগরিকদের অধিকার। সেটা কে নিশ্চিত করবে?
বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি অরুণ মিশ্র মন্তব্য করেন, কাজ কম, গিমিক বেশি হচ্ছে। ওড ইভেনে কী লাভ হল? শুক্রবারের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানাতে হবে। কেন শস্য পোড়ানো বন্ধ হল না? আপনারা কি গ্যাস চেম্বার বানাতে চান?
দিল্লি প্রশাসনের অবশ্য দাবি, ওড ইভেনে কয়েক ঘন্টাতেই দূষণ কমেছে।
দূষণের জেরবার সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে নাটকও চলছে। ওড ইভেন না মেনে গাড়ি নিয়ে বেরোন দিল্লির এক শীর্ষ বিজেপি নেতা। তার জন্য জরিমানা করা হয় বিজয় গোয়েলকে। তাঁর হাতে গোলাপ তুলে দিয়ে গান্ধিগিরি উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়ার।