কী ভাবে সম্ভব হল? কেমন করে ব্যবসা সফল করলেন গেরু? সেই গল্প ভাগ করে নিলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। গেরু জানান, এ হল বিশ্বাস রাখার এবং টিকে থাকার ফল। শুরুটা হয়েছিল দু’বছর আগে। অনেক চেষ্টা করেও চাকরি না পেয়ে বাঘপতের খেকরায় চলে গেছিলেন গেরু। ২০ সদস্যের পরিবার। পেট চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো।
advertisement
আশেপাশের জঙ্গল থেকে খেজুর পাতা কুড়িয়ে সেগুলিকে টেকসই করার জন্য রবারের প্রলেপ লাগিয়ে ঝাড়ু তৈরি করা শুরু করেন পরিবারের ২০ জনে মিলে। স্থানীয়দের সহায়তায় এবং সম্মিলিত শ্রমে ক্রমশ লাভজনক হতে থাকে ব্যবসা। গেরু জানান প্রতি ঝাড়ুতে ৩০টাকা লাভ থাকে। সবটাই যেহেতু নিজেরা করেন, এখানে মধ্যসত্ত্বভোগীর জায়গা নেই। পণ্য কিনতে হয় না বাজার থেকে, লাভের টাকাও সরাসরি ঘরে আসে।
বনজ সম্পদ কাজে লাগিয়ে যেভাবে সপরিবার স্বাবলম্বী হয়েছেন গেরু তাতে স্থানীয়রা তাঁদের সম্ভ্রমের চোখেই দেখেন। বহু এলাকায় তাঁর ঝাড়ু বিক্রি হয়। সুনাম অর্জনের পাশাপাশি তিনিই এখন গ্রামবাসীর রোল মডেল।