মহিলা সেলে ৯৪৩৫ নম্বর কয়েদি হিসাবে রাখা হয়েছে শশীকলাকে ৷ অন্য দুই মহিলা সঙ্গীর সঙ্গেই থাকতে হবে তাকে ৷ মিলবে না হোটেলের খাবার, এসি ও পছন্দমতো বিছানা ৷ গতকালই বিশেষ সুবিধার আর্জি জানান তিনি কিন্তু তা খারিজ করে সাধারণ সেলেই ঠাঁই শশীকলার ৷ এখনই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন নয় ৷
আপাতত কিছুদিন বেঙ্গালেরু সেন্ট্রাল জেলই শশীকলার ঠিকানা। পরিস্থিতি দেখে এখনই সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবছে না শশীকলা শিবির। এখনই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে খুব একটা লাভ হবে না। এব্যাপারে একমত আইন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
এখনই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে খুব একটা লাভ হবে না। বিচারপতিরা এই আবেদন শুনবেন, এমনটা ভাবা বেশ কষ্টকর। শশীকলাও সেই ঝুঁকি নেবেন বলে মনে হয় না বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহল মহল ৷
প্রথমে অসুস্থতার দোহাই। পরে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা। জেল খাটা পিছিয়ে দিতে কম চেষ্টা করেননি চিন্মাম্মা। সব আর্জি খারিজ হওয়ায় বাধ্য হয়েই বেঙ্গালেরু রওনা হন চিন্মাম্মা। তখনও জানতেন না, তার জন্য অপেক্ষা করছে আরও খারাপ খবর।
যে জয়া আবেগ তাঁর একমাত্র হাতিয়ার, চেন্নাই ছাড়ার আগে তা উসকে দেওয়ারও চেষ্টা করেন আম্মা। জয়ললিতার সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এই অবস্থায় দ্রুত আস্থাভোট চাইছেন রাজ্যপাল। রাতের দিকে দুই শিবিরের সঙ্গে নেতাদের সঙ্গে দেখা করে এই বার্তাই দেন রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও। সম্ভবত শুক্রবার হতে পারে সেই আস্থাভোট।
অন্যদিকে, বেঙ্গালেরুর জেলে বসে অনেক অস্বস্তি তাড়া করছে চিন্মাম্মাকে। তারই মধ্যে সামান্য একটু স্বস্তি বলতে পালানিসামি। নিজের অনুগতকে ক্ষমতার রাশ দিয়ে এসেছেন। পালানিসামির নেতৃত্বে যদি সরকার তৈরি হয়ও, জেলের ভিতর থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করার মতো ক্যারিশমা শশীকলার আছে তো?