মার্কিন সেনেটের টেড পো’র আনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে চলতি সপ্তাহেই। শুক্রবার থেকে শুরু প্রেসিডেন্ট ওবামার শেষ সেনেট সেশন। সেনেটে প্রস্তাব পাশ হলে হলে আরও বিপাকে পড়তে হবে পাক প্রশাসনকে।
জারি হতে পারে আংশিক নিষেধাজ্ঞা ৷ বন্ধ হতে পারে যাবতীয় আর্থিক অনুদান ৷ অস্ত্র কেনা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা ৷ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি থেকে বহিষ্কারের মুখে পড়ার সম্ভাবনা ৷
advertisement
মার্কিন স্বস্তির পাশাপাশি ভারতের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়াও। উরি হামলার পর যৌথ নৌ-মহড়া প্রত্যাহার না করায় রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেই জল্পনা উড়িয়ে পাক প্রশাসনকে এদিন সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করার হুঁশিয়ারি দিল মস্কো।
রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার কাদাকিন বলেন, ‘বার বার পাকভূমি থেকে আসা সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে নিরীহ নাগরিকদের উপর হামলা চালাচ্ছে ৷ বার বার লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার ৷ আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি ৷ প্রতিটি দেশের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে ৷ ভারত জঙ্গি দমনে যে সার্জিক্যাল অপারেশন চালিয়েছে আমরা তা পূর্ণ সমর্থন করছি ৷’
রাষ্ট্রসংঘ নিয়েও হতাশাই সঙ্গী পাকিস্তানের। ভারতের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় দেয়নি সদস্য দেশগুলো। ভারতে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিনের দাবি, ‘পাকিস্তানের প্রস্তাব গুরুত্ব দেয়নি সদস্য দেশগুলো। এনিয়ে আলোচনাও হচ্ছে না। পাকিস্তানের অবস্থান কতটা ঠুনকো এতেই আবারও তা প্রমাণিত।’
আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই কোণঠাসা অবস্থায় অভিনেতাকে নিয়েও নতুন সমস্যায় পাক প্রশাসন। ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে পা দেওয়ায় পরই তার টার্গেট ভারতের সিনেমাপ্রেমীরা। বলিউডে সদ্য জনপ্রিয়তা পাওয়া ফাওয়াদের তোপ, ‘ভারতের মানুষের মন খুব ছোট। ওরা শিল্পীদের কদর জানেন না। সম্মান দিতে পারেন না। পাকিস্তানের থেকে শেখা উচিত ভারতের মানুষের।’
ফাওয়াদের এই মন্তব্যের জেরেই পাকিস্তানি সিনেমা ও শিল্পীদের বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলিউড ফ্যান ইন্টারন্যাশানাল। বিশ্বে ভারত ও পাকিস্তানি ছবির দর্শকদের অনেকেই এদের সদস্য। সন্ত্রাসের পর সাংস্কৃতিক মতবাদেও ভারত বিরোধিতার জের টানতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।