জানা গিয়েছে রবিবার ভোররাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে৷ ১২২৭৪ নম্বরের দিল্লি থেকে কলকাতাগামী ট্রেনের যাত্রীদের মারাত্মক অভিযোগ, ট্রেনে থাকা রেল পুলিশ কর্মীরা পটনা স্টেশনে নেমে যান৷ এর পরেই কেউ একজন ট্রেনের এমার্জেন্সি চেন টানেন৷ যার ফলে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়৷ তখনই প্রায় চব্বিশ জন দুষ্কৃতী ট্রেনটিতে উঠে পড়ে৷ পরে তারাই ট্রেনে লুঠপাট চালায়৷ ট্রেন চালকও দাবি করেছেন, এমার্জেন্সি চেন টানার কারণেই ট্রেন থামিয়েছিলেন তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: বউবাজারের বাড়িতে নতুন ফাটল, শেষমেশ কি হবে সুড়ঙ্গ জোড়ার কাজ, নাকি সবই অনিশ্চিত
কলকাতার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী এবং ওই ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, 'পটনা থেকে ট্রেনটি দশ কিলোমিটার মতো আসার পরই হঠাৎ ঝাঁকুনি হয়৷ তখনই বেশ কয়েকজনকে ট্রেনের চারপাশে ছোটাছুটি করতে দেখি৷ এর পরেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়৷ সেই সুযোগে বেশ কয়েকজন ট্রেনে উঠে পড়ে৷ বহু যাত্রীর থেকেই বিভিন্ন জিনিস ছিনিয়ে নেয় তারা৷'
ওই যাত্রীর আরও দাবি, ট্রেন থেকে নামার সময় রেল পুলিশের কর্মীরা যাত্রীদের মোবাইল ফোন এবং চার্জার লুকিয়ে রাখতে বলেন৷
বহু যাত্রীর থেকেই মালপত্র সহ অন্যান্য জিনিস ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ ট্রেনটি হাওড়ায় পৌঁছলে যাত্রীরা রেল পুলিশে অভিযোগ জানান৷ এক সময় বিহারের উপর দিয়ে ট্রেন যাত্রা যাত্রীদের কাছে আতঙ্ক ছিল৷ এই ঘটনা সেই স্মৃতিকেই মনে করিয়ে দিল৷