অভিযুক্ত চালক দীপক, তিনি আজমেরের বাসিন্দা এবং গাড়িটি পুদুচেরিতে রেজিস্টার্ড। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে ভয়ঙ্কর বিবাদের জের, চরম সিদ্ধান্ত ভাইয়ের! বোন আর জামাইবাবু পেলেন চরম শিক্ষা…
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেন, গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
advertisement
এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনলাইনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একজন মন্তব্য করেন, “আমি নিশ্চিত কিছুই হবে না, সে আদালতকে নিয়ে মশকরা করবে এবং নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যাবে।” আরেকজন লেখেন, “দেখুন তার ভঙ্গিমা, হাসছে! জানে, তার কিছুই হবে না।”
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! মাঝরাতে পিছনে থেকে এসে ধাক্কা দ্রুতগতির বাসের, নিহত ২
বর্তমানে ভারতে এবং সারা বিশ্বে গাড়ির দুর্ঘটনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতির মোহ এবং ট্র্যাফিক নিয়মের প্রতি উদাসীনতা। বিশেষ করে বিলাসবহুল ও স্পোর্টস কার চালকরা অনেক সময় রাস্তার গতি সীমা উপেক্ষা করেন, যা ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে গাড়ির গতি এবং ক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু চালকদের সচেতনতা সেই অনুপাতে বাড়েনি। তাছাড়া, অনেক ক্ষেত্রেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, মোবাইল ব্যবহার, এবং অযথা ওভারটেক করার প্রবণতা মারাত্মক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
এর পাশাপাশি, শহরগুলির রাস্তাঘাটের অবস্থা, অপরিকল্পিত ট্র্যাফিক ব্যবস্থা এবং জরুরি পরিষেবার ধীরগতি দুর্ঘটনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলছে। অনেক সময় রাস্তার খারাপ অবস্থা, পর্যাপ্ত সিগন্যাল ও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের অভাব দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া, ভারতে আইন প্রয়োগের দুর্বলতা এবং অপরাধীদের সহজে ছাড় পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেক চালককে আরও বেপরোয়া করে তুলছে। দুর্ঘটনা রোধ করতে কড়া ট্র্যাফিক আইন, চালকদের জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ, এবং রাস্তাঘাটের যথাযথ সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি।