তেজস্বী যাদব নতুন সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক রাজনীতি করার এবং বিরোধী দলগুলির কণ্ঠরোধের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তেজস্বী। “যে কোনও রাজ্যে যান, যেখানে বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকে বা যেখানেই বিজেপি ভয় পায় তারা নিজেদের তিন বন্ধুকে নিয়ে আসে- সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আয়কর বিভাগ,” বলেন তেজস্বী।
advertisement
আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দিলে ২০ কোটি, অন্য বিধায়কদের নিয়ে এলে ২৫ কোটি! বিস্ফোরক অভিযোগ আপের
“একটি এজেন্ডা তৈরি করা হচ্ছে। আপনি যদি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে আপনি সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র। অন্যথায় আপনি একজন অপরাধী, ধর্ষক এবং ইডি এবং সিবিআই আপনার পেছনে পড়ে যাবে,” বিশ্লেষণ তেজস্বীর। এই অবস্থাতে দাঁড়িয়েও, বিজেপির সঙ্গে জোট শেষ করার জন্য জনতা দল ইউনাইটেড প্রধান নীতীশ কুমার যা করেছেন তা প্রশংসনীয় বলেই জানান আরজেডি নেতা। “আমি আমার বাবা লালুজিকেও ধন্যবাদ জানাই। ওরা বাবাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি কখনও সাম্প্রদায়িক শক্তির সামনে মাথা নত করেননি,” বলেন তেজস্বী যাদব।
“সাংবাদিকরা আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এই জোটটি কীভাবে হল। আমি তাঁদের বলেছিলাম, ‘মহারাষ্ট্রে যেভাবে ঘটেছে সেভাবে নয়’। বিজেপির কাছে একটিই উপায়- হয় লোকেদের ভয় দেখানো এবং যদি তাঁরা ভয় পেতে অস্বীকার করেন তবে তাঁদের কিনে নিন,” বলেন তিনি। তেজস্বীর দাবি, বিহার কখনই ভয় পাবে না বা হেরে যাবে না।
আরও পড়ুন- এক ফ্রেমে মিলিন্দ-মোদি! 'ঐক্যের দৌড়' শেষে প্রধানমন্ত্রীকে গোপাল উপহার মিলিন্দের
বিহার বিধানসভায় সর্বাধিক সংখ্যক আসন রয়েছে তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের। তার পরেই রয়েছে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) এবং কংগ্রেস। এই মহাজোট কার্যত সমস্ত দলকে একত্রিত করেছে, বিজেপিকে বাদ দিয়ে।