ট্রান্সের তরফে জানানো হয়েছে, সঙ্কটের এই সময়ে যা ক্যাশ ছিল তা থেকেই খরচ করা হয়েছে ৷ ট্রাস্টের কাছে প্রায় ৮ টন সোনা ও ১৪০০০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে৷ লকডাউনের জেরে প্রায় টানা ৫০ দিন বন্ধ রেয়েছে মন্দির এবং এখনও পর্যন্ত ঠিক নেই কবে মন্দির সাধারণ মানুষের জন্য খোলা হবে ৷
advertisement
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘টিটিডি তাদের কর্মীদের বেতন ও পেনশন দিতে বাধ্য ৷ লকডাউনে মন্দিরের আয় না হলেও প্রতিদিনের অন্য জিনিসে টাকা খরচ করা হয়েছে ৷ টিটিডি বিভিন্ন কাজে বছরে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা খরচ করে থাকে ৷ ’ প্রতিমাসে মন্দিরের প্রায় ২০০ থেকে ২২০ কোটি আয় হয় কিন্তু লকডাউনের জেরে কোনও গত কয়েকদিনে কোনও আয় হয়নি মন্দিরের ৷
মন্দিরে প্রায় প্রতিদিন ৮০০০০ থেকে ১ লক্ষ মানুষ পুজো দিতে আসেন ৷ উৎসবের সময় এই সংখ্যা আরও বেড়ে যায় ৷ ২০২০-২১ আর্থিক বছরের জন্য ৩৩০৯.৮৯ কোটি টাকা বার্ষিক বাজেট নির্ধারিত করা হয়েছে ৷ কিন্তু লকডাউনের জেরে এখনও পর্যন্ত ১৫০ থেকে ১৭০ কোটি কম কালেকশন হয়েছে ৷ ট্রাস্টের রেভিনিউ ঠাকুর দর্শনের টিকিট, প্রসাদ, থাকার ব্যবস্থা ও দান থেকে আসে, যা এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ৷
চলতি আর্থিক বছরে কর্মচারীদের বেতনের উপর প্রায় ১৩৮৫.০৯ কোটি টাকা খরচ করার জন্য বরাদ্দ করা হয় ৷ এই মাসে কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য প্রায় ১২০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে ৷ এছাড়া ট্রাস্টের তরফে SYVIMS ও BIRRD কে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷