রাজ্যের পুরমন্ত্রী এমটিবি নাগরাজের সম্পত্তির পরিমাণ ১৬০০ কোটির বেশি। যদিও ভোটের লড়াইয়ে তাঁকে রীতিমত টক্কর দিচ্ছেন কংগ্রেসের শারথ বাচ্চে গৌড়া। ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে তাঁকে হারিয়েও দিয়েছিলেন কংগ্রেসের ওই প্রার্থী। আর এবারও বিধানসভা ভোটে তাঁরাই মুখোমুখি লড়াইয়ে।
আরও পড়ুন: আচমকাই এনসিপি প্রধানের পদ ছাড়লেন শরদ পাওয়ার, ভাইপো অজিতের সঙ্গে বিরোধের জের?
advertisement
এরপরে অবশ্যই তালিকায় আসে কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের নাম। ১২০০ কোটিরও বেশি টাকার মালিক শিবকুমারকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য এক মাসের মধ্যেই জামিন পান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। আর ছাড়া পাওয়ার পর দলের কর্মী-সমর্থকদের পক্ষ থেকে যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছিলেন তারপর শিবকুমারকে ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পরে আর দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি হাইকম্যান্ডকে।
আর শিবকুমারের বিপক্ষে ভোটে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি সরকারের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোক। সম্পত্তির অঙ্কে তিনিও কিছু কম যান না। ১১০০ কোটি টাকারও বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা আছে তাঁর ও মন্ত্রী মহাশয়ের পরিবারের নামে। নিজের কেন্দ্র কনকপুরায় প্রতিবার নির্বিঘ্নে জয়ী হওয়া শিবকুমারের কাছে এবারের লড়াই যথেষ্ট কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একইরকম চিন্তায় আছেন গোবিন্দরাজপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ১১০০ কোটির মালিক প্রিয়কৃষ্ণ বা হেব্বল কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ৬০০ কোটির সম্পত্তির দাবিদার ভাইরথী সুরেশ।
শেষ পর্যন্ত কী হয়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৩ মে পর্যন্ত, কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর।