আর জি কর ধর্ষণ ও খুনের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তে এ দিন আদালতে সপ্তম কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই৷ যদিও সিবিআই তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা মা৷ সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁদের মেয়ের ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রীকে আড়াল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা৷
এ দিন বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন বিচারক অরিজিৎ মণ্ডলের উদ্দেশে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘একটাই আবেদন। সিবিআই অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য যা করার তাই করছে। ওরা বড় তদন্তকারী সংস্থা। হোস্টেল ঠিক কী পাওয়া গিয়েছে সেটা তদন্তকারী অফিসার বলুন। এত দিন ধরে উনি আমার ফোন ধরেন না। দিল্লিতে গিয়েছিলাম, সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলার পর উনি বলেন তাহলে আমরা মামলা ছেড়ে দিচ্ছি৷ আমরা বলি এটা আদালতে বলুন। তারপর ওনারা আমাদের ডেকে বলেন, অতিরিক্ত চার্জশিট দেবো।’
advertisement
নির্যাতিতার বাবার মুখে এ কথা শুনে বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘হস্টেলে কী রেলিভেন্ট কিছু পাওয়া গিয়েছিল?’ জবাবে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘ছিল। এটা আমরা গোপন জবানবন্দি দিয়ে জানাবো। তদন্তকারী অফিসার আমাদে বাড়িতে এসে বলেছিলেন, মেয়েটার কপাল খারাপ। সঞ্জয় গিয়ে এই কাজ করে হত্যা করেছে।’
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমি মেয়েকে হারিয়েছি। কেন আমাকে বলতে দেওয়া হবে না। তদন্ত চলাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন ওই সময় তদন্তকারী অফিসার কী বলতে হবে তা আমার স্বামীকে শিখিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। আমার মেয়ে সেমিনার রুমে থাকত না। কোথায় ছিল? আমরা সেই উত্তরই চেয়েছি, এটা কি খুব বেশি চাওয়া।’ এর পরই তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজার দিকে আঙুল তুলে নির্যাতিতার মা ‘নির্লজ্জ’ বলে তোপ দাগেন৷
এই ঘটনার পর নির্যাতিতার বাবা মাকে শান্ত হয়ে বাইরে যেতে বলেন বিচারক৷ এর কিছুক্ষণ পরেই আদালত কক্ষের বাইরে এসে কেঁদে ফেলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজা৷
এই মামলায় এ দিন সিবিআই-এর থেকে কেস ডায়েরি তলব করেছেন বিচারক৷ ১৭ জানুয়ারি এই কেস ডায়েরি তলব করা হয়েছে৷ আজ যে সপ্তম স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে, তা খতিয়ে দেখার জন্যই কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত৷
