বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, বেলা ১১টা ৪৫মিনিটে মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর হয়েছিল। পরে অধ্যক্ষ অভিযোগ জানান। এর পরই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সৎকারের জন্য মৃতদেহ কখন পরিবারকে দেওয়া হয়? আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন: আমরা চিকিৎসকদের অনুরোধ করছি আপনাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করুন : সুপ্রিম কোর্ট
advertisement
প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “বিকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫মিনিটে। তার আগে কী করছিলেন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? ওই সময়ে মৃতার বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।”
রাজ্যের আইনজীবীর কাছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানতে চাওয়া হয়, “আমরা জানতে চাই কে ফোন করেছিলেন পরিবারকে? আমরা জানতে চাই এফআইআর কখন দায়ের করা হল? উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘১১:৪৫ এ এফআইআর করা হয়েছে। রাত ৮:৩০ দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর রাত ১১:৪৫-এ পরিবারের অভিযোগে এফ আই আর রুজু হয়েছে।’
উত্তরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কেন? সকালে জানা গিয়েছে একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট খুন হয়েছে আর রাত ১১:৪৫ এ এফ আই আর! বিস্মিত দেশের প্রধান বিচারপতি। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘চিকিৎসকের খুন হওয়ার মুহূর্তে পরিবারের মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন এফআইআর করবে না?’