পঞ্জাবের বন্যায় সম্প্রতি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সম্প্রতি আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাড়তে থাকা জলে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন তিনি। গত ৩৭ বছরের মধ্যে এত ভয়াবহ বন্যা দেখেনি পঞ্জাব। লাগাতার অতি ভারী বৃষ্টির জেরে জলের নীচে চলে গিয়েছে পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবকে ‘বিপর্যস্ত রাজ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে আপ সরকার। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে উদ্ধারকাছে নামতে হয়েছে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৩টি দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে পঞ্জাবে।
advertisement
রিলায়েন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ১০ দফা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো রেশনের ব্যবস্থা, ১,০০০ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের জন্য ৫ হাজার টাকার ভাউচার-ভিত্তিক সহায়তা ও কমিউনিটি রান্নাঘরের জন্য রসদ সরবরাহ। এই পরিস্থিতিতে পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য জলমগ্ন গ্রামে পোর্টেবল ওয়াটার ফিল্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন– সহ্য করে নিয়েছিল ভূমিকম্প ! পারল না সহ্য করতে Gen-Z আন্দোলন
বন্যায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য টারপলিন, মশারি, দড়ি, বিছানা-সহ জরুরি আশ্রয় কিট বিতরণ করা হচ্ছে। রোগের ঝুঁকি রোধ করার জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির ও দূষিত জলের উৎস জীবাণুমুক্তকরণও শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য স্যানিটেশন কিটও চালু করা হয়েছে। পঞ্জাবের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রাণীসম্পদ রক্ষা রিলায়েন্সের আরেকটি প্রধান লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই এলাকায় দীর্ঘদিনের জলমগ্ন পরিস্থিতির জন্য পশুদের তীব্র দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে। পশুচিকিৎসা দলগুলি জানিয়েছে সেই কথা। প্রায় ৫,০০০ গবাদি পশুর জন্য ৩,০০০-এরও বেশি সাইলেজ বান্ডিল বিতরণ করা হচ্ছে। ভানতারা টিম উদ্ধারকাজ ছাড়াও আহত পশুর চিকিৎসা ও সংক্রমণ রোধে যথাযথভাবে মৃত পশুর দেহের ব্যবস্থা করছে।
রিলায়েন্স জানিয়েছে- তাদের দলগুলি জেলা প্রশাসন, পঞ্চায়েত ও এনডিআরএফের সঙ্গে সর্বক্ষণ এই বিষয়ে কাজ করছে। জিও পঞ্জাব টিম বন্যা কবলিত এলাকায় নেটওয়ার্ক পরিষেবা পুনরুদ্ধার করেছে।